বাসনা
সাধনা
তিন তলার
বিতা ভাবী। স্বামী কানাডায় থাকে। ভাবীও কানাডায় চলে যাবেন খুব শিগগির। একমাত্র
মেযের বয়স সাত বছর। বাচ্চাকে ভালো স্কুলে পড়ানোর জন্যই বাসা ভাড়া নিয়েছেন। আব্বা
আম্মার সঙ্গে খুবই ভালো সম্পর্ক। ছয় মাস হলো ভাড়া আছেন। কিন্তু আমার সাথে দুই এক
দিন কথা হযেছে। সিড়ি দিয়ে ওঠা নামার সময় দেখা হয় ব্যস এটুকুই।
সকাল বেলা
বাসা থেকে বের হবার সময় আম্মা আদেশ দিলেন বিতার শরীরটা ভালো না । তাই মার্কেটে
যেতে পারছেন না। তুমি একটু তার কয়েকটা জিনিস কিনে দাও। আম্মার আদেশে সাহস না থাকা
সত্বেও অনিচ্ছায় তিন তলায় গেলাম। দরজা খুললেন রীতা ভাবী।
ও তুমি।
নিশ্চেই খালা পাঠিয়েছে। ভীষন কষ্টে আছি যদি দয়া করে িএকটু উপকার করো। ।
বিনয়ের
সাথে ভদ্রতা বসত বললাম, না, এসব কি বলছেন। আজ কোনো কাজ নেই। দিন কি আনতেহবে।
একটু বসো।
লিষ্টও টাকা দিচ্ছি। নিউ মার্কেটের কসমেটিকসের দোকানে সব পাবে। বলেই বিতাভাবী
বেডরুমে গিয়ে ঢুকলেন , ফিরলেন একটি লিষ্ট ও টাকা নিয়ে।
সারাদিন
আড্ডা দিয়ে দুপুরে নিউ মার্কেটে পরিচিত দোকানে গিয়ে লিষ্টটা দিযে বললাম মালগুলো
দিনতো। দোকানি লিষ্ট অনুসারে মাল নামাচ্ছে এবং দাম হিসাব করছে । বাদ সাধলো।
ব্রেসিয়ারের নাম্বারে এসে।
কতো
নাম্বার ?
আমাকে
জিজ্ঞাসা করলে বললাম তা তো জানি না।
কার এটা ?
কেমন মোটা ?
আমার চাচির
।মিথ্যা বললাম। বয়স্ক মহিলা । অবশ্যই বেয়াল্লিশ চৌচল্লিশ হবে। ঠিক আছে। তুমি
বিয়াল্লিশ নিয়ে যাও। ছোট হলে চেঞ্জ করে নিও।
আচ্ছা বলে
মাল নিয়ে চলে এলাম।
বাসায় এসে
রিতাভাবীকে কোনো কথা না বলে। প্যাকেটা ও বেচে যাওয়া তিনশ পচাত্তর টাকা ফেরত দিলাম।
শুধু প্যাকেটটা নিয়ে বললেন, টাকা ফেরত দিও না। এটা তুমি চা মিষ্টি খেও।
টাকা না
নিতে চাইলে রাগ করলেন্। অগত্যা নিতেই হলো। বাসায় এসে কাপড় খুলতেই মেয়েকে দিয়ে ডেকে
পাঠালেন।
আমাকে বসতে
বললেন।
আর মেয়েকে
বললেন পড়তে যাও। আমি না ডাকলে ড্রইং রুমে আসবে না।আমাকে ড্রইং রুমে বসতেদিয়ে হাসতে
হাসতে চলে গেলেন।আমি একটা পত্রিকানিয়ে পড়ায় মনোনিবেশ করলাম।
ভাবীর ডাকে
মনোনিবেশ ক্ষুন্ন হলো। এই এটা কি নিয়ে এসেছো। একটা ব্রা হাতে নিয়ে দাড়িযে আছেন ।
কেন ? আপনি
লিষ্টে যা লিখে দিয়েছেন তাই।
তা ছিল
কিন্তু এতো বড় সাইজের কেন।
আপনি তো
নাম্বার লিখে দেননি।
তা দেইনি।
কিন্তু তোমারও তো আন্দাজ থাকা দরকার।অামি কিভাবে আন্দাজ করবো।
বোকা
কোথাকার। বলেই ভাবী শাড়ীর আচলটা ফেলে দিলেন। ভালি ব্রা পরে এক দেবী যেন আমার সামনে
দাড়িয়ে। উত্তেজনায় গায়ে কাটা দিয়ে উঠলো।। মাপ নিযে বদলিয়ে নিয়ে এসো। ভাবীর মুচকি
হাসি।
কোথায় মাপ
নেবো।
এখানটায়।
বলেই স্তন দুটো হাত দিয়ে উচু করে ধরলেন। আমি আর ঠিক থাকতে পারলাম না। ভাবীকে চেপে
ধরলাম। ভাবীও উত্তেজনায় কাপতে কাপতে অামার বুকে আত্মসমপন করলো। সোফার ওপরেই শুরু
হলো লীলাখেলা।
দিন যায় মাস
যায়। ভাবীর দেয়া টাকায় আমার অবস্থা রাজার মতো। দুজন দুজনকে প্রানের চেয়েও বেশি
ভালোবাসি। ভাবী অনেক আশার বানী শোনালো। কানাডা গিয়ে একটা চাকরি নিয়েই ভাইকে ডিভোর্স
দেবেন। পরে আমাকে কানাডায় নিয়ে যাবেন এবং বিয়ে করবেন। আর আমিও কানাডা যাবার আশায়
ভাবীকে খুশি করায় ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।বছর পেরিয়ে গেলো হঠাৎ একদিন ভাবীর কানাডা যাবার কাগজ এলো।
ভাবীকে খুবই খুশি মনে হলো। ঢাকায় গিয়ে টিকেট কমর্ফম করে এলাম। ঢাকায় গেলাম তুলে
দেয়ার জন্যে।
এয়ারপোর্টে
ভাবী আমাকে আলাদা ভাবে একা ডেকে নিয়ে আমাকে চেপে ধরে আলতো করে একটা চুমু দিলেন।
ব্যাগ থেকে হলুদ একটা চিঠি বের করে আমার হাতে দিয়ে বললেন, আমি চলে গেলে পড়বে।
আচ্ছা ।
চিঠিটা পকেটে রেখে দিলাম।
যথা সময়ে
ভাবী উড়ে গেলো। বাসায় এসে ভাবীর নির্দেশ মতো চিঠিটা খুললাম। কিন্তু একি লেখা।
চিঠির ভাষা
যেরুপ ছিলো-
শুভেচ্ছা
নিও
তুমি বেশি
বোকা। জানি আমাকে ভীষন ভালোসাবো। কিন্তু ভালোসার সংঙ্গা জানো না। আমার কাছে
ভালোবাসার মানে-
ভা-ভাবিয়ে
ভাবিযে
লো-লোভ
দেখিয়ে
বা-বাসনা
সা-সাধনা
ইতি
রিতা