সন্দেহ
দীঘ দিন
ঢাকায় বাস করি। বহু ঘটনা বহু রটনার সাথে এ জীবজ সম্পৃক্ত। ভালবাসা কি । এ বিষয়ে কি লিখবো বুঝতে পারিনা। তবে একটি
স্বরনীয় ঘটনার বননা করছি।
কৌতুহল হয়
নিজেকে নিয়ে। ঢকায় বাড়ি এবং ভালো চাকরিও আছে। আমার বাড়িতে দু টারটি ফ্যামিলী ভাড়াও
থাকে। তারাও ভালো চাকরী করে। কিন্তু একজন লোক ডে নাইট অথাৎ শিফটিং ডিউটি করে। তারা
প্রতি বছরই ম্যারেজ ডে পালন করে। আমিও তাদের অতিথি হিসেবে সামিল হই। দম্পতি বেশ
স্মাট ও সুখী। কোনো সন্তান নেই। আমরাও নতুন সংসার পেতেছি। ছেলেমেয়ে হয়নি। ঝুট
ঝামেলাও নেই। মোট কথা সবাই টোনাটুনি। বৌ আমার বাপের বাড়িতে থাকে আবার আমার সাথেও
থাকে। কখনো মাস, দুই মাস এভাবে। ওই দম্পতির তৃতীয় বিয়ে বার্ষিকীর কথা বলছি। রীতি
মতো নিমন্ত্রন হলো। একাই সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় দোতলার কলিংবেল টিপতেই ভাবী আমাকে
রিসিভ করলেন। ভেতরে কোলাহলমুক্ত পরিবেশ। কোনো অতিথি নেই। অবাক হলাম । কিছু বলার
আগেই ভাবী আমাকে বললেন, কাউকে নিমন্ত্রন করিনি।সাহেবও নাইট ডিউটিতে চলেগেছে। সকালে
ফিরবে। অকপটে তিনি কথাগুলো বলেগেলেন। অবাক হলাম ভাবীর কথা শুনে।
বললাম
তাহলে আপনি একা।
ভাবী আমার
হাত ধরে তার বেডরুমে নিয়ে গেলেন। এবং দ্রুত তার শরীরের সব কাপড় খুলে ফেললেন। আমি
তো অন্য দিকে ফিরে আছি। হঠাৎ নগ্ন দেহে আমায় জড়িয়ে কেদে ফেললেন। তিনি বললেন আমার
সাহেব প্রতিদিন আপনাকে
নিয়ে
কতগুলো মিথ্যা কথা বলে। আমি হাজার কিরা কমস কাটলেও বিশ্বাস করে না। দুপুরে অফিসে
যাওয়ার সময় আপনাকে নিয়ে বিয়ে বার্ষিকী পালন করতে বলেছে। তাই আমি এ ব্যবস্থা করেছি।
আপনি আমাকে ইচ্ছামতো ভোগ করেন।আমার স্বামীর সন্দেহের সমাপ্তি ঘটুক। কারন আমাদের
দাম্পত্য জীবন খুবই সন্দেহ প্রবন। তার সন্দেহমূলক কথা শুনতে শুনতে আমার দুটি কান
ঝালাপালা। আপনাকে নিযে তার নোংরা কথা সত্যে পরিনত করতে চাই। আপনার কোনো চিন্তা
নাই। যা হবে আমার জীবনের ওপর এতে সংসার থাক বা না থাক। তার ওপর আমার এটাই চরম
প্রতিশোধ। আপনাকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আজ আপনি কোনোক্রমেই না করবেন না। আমি জানি
ভাবী বাসায় নেই। তাই ইচ্ছা করলে সারা রাত আমার পাশে থাকতে পারবেন। নিজেকে সংযত
করার চেষ্টা করলাম। কিন্তু মহিলার দৃঢ় চাহনিতে এবং নগ্ন দেহের স্পর্শে আমার সমস্ত
শরীর একাকার হয়ে গেল। যেখান থেকে মুক্তি ছিল কঠিন। ভাবলাম, শুধু ভাবলাম। তাদের
নিয়েই ভাবলাম।
না পেলাম
ভাবনার কূল কিনারা।না পারলাম ফিরে আসতে।
হায়রে
ভালোসাবা হায়রে ভালোবাসার বিয়ে।