Tuesday, November 28, 2017

ভাষন

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাশনটি ১৮ মিনিট ১১০৮ শব্দের ভাষন।

Wednesday, November 22, 2017

কিছু রোগের ইংরেজী নাম

কিছু রোগের ইংরেজি নাম জেনে নেই।
~Fever (ফিভার) - জ্বর।
~Pain (পেইন) - ব্যথা।
~Gripe (গ্রাইফ) - পেট ব্যথা।
~Pill (পিল) - বড়ি।
~Ulcer (আলসার) - ক্ষত।
~Leprosy (লেপ্রসি) - কুষ্ঠ।
~Cold (কোল্ড) - সর্দি।
~Cough (কফ) - কাঁশি।
~Cancer (ক্যান্সার) - কাউট রোগ।
~Diabetes (ডায়াবেটিস) - বহুমূত্র।
~Bandage (ব্যান্ডেজ) - পট্টি।
~Boil (বয়েল) - ফোঁড়া।
~Piles (পাইলস) - অশ্ব।
~Asthma (অ্যাজমা) - হাঁপানি।
~Tumour (টিউমার) - টিউমার।
~Typhoid (টাইফয়েড) - টাইফয়েড।
~Titanus (টিট্যানাস) - ধনুষ্টংকার।
~Treatment (ট্রিটমেন্ট) - চিকিৎসা
~Malaria (ম্যালেরিয়া) - ম্যালেরিয়া।
~Headache (হেডঅ্যাক) - মাথা ব্যথা।
~Toothache (টুথঅ্যাক) - দাঁত ব্যথা।
~Jaundich (জন্ডিস) - পান্ডুরোগ।

Hernia- অন্দ্রবৃদ্ধি রোগ,
Varicocele- একশিরা,
hydrocele- অন্ডফোলা রোগ,
anal fissure- চিড় রোগ,
Diarrhea- উদারাময়,
Jaundice- পান্ডুরোগ,
Amebiasis- আমাশয়,
Leprosy- কুষ্ঠ রোগ,
MF infection- ছুত পড়া,
Piles /Hemmorhoid- অর্শরোগ, গেজ,
Impotency- পুরুষত্বহীনতা,
Veneral disease- যৌন রোগ,
Tuberculosis- যক্ষ্মা,
Abortion- গর্ভপাত,
Abscess- ফোঁড়া,
Acne- ব্রন,
Allergy- চুলকানি,
PME- ধাতুক্ষয়,
Cholera- উলাওঠা,
Ulcer- ক্ষতরোগ,
Alopecia- টাক রোগ,
Anorexia nervosa- ক্ষুধামন্দা,
Splenomegaly- পিলাই চমকানো,
Asthma- হাঁপানি,
Tumor- অর্বুদ,
Scabies- খোশ পাঁচড়া,
Gout- বাত ব্যাথা,
Rheumatic fever –বাত জ্বর,
Syphilis- উপদংশ,
Epilepsy- মৃগী রোগ,
Erectile dysfunction- ধ্বজভঙ্গ,
Measles- হাম,
scizophrenia- পাগল রোগ,
polio- পক্ষাঘাত,
albinism- শ্বেতী রোগ,
leucorrhea- সাদাস্রাব,
rabies- জলাতংক।
DSS লুল পাবলিকেশন্স

Monday, November 13, 2017

দেনমোহর

দেনমোহর কি? দেনমোহর পরিশোধ করেছেন?
মুসলিম বিয়েতে দেনমোহর হচ্ছে স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রীর একটি বিশেষ অধিকার। দেনমোহর সাধারণত বর ও কনের সামাজিক অবস্থান অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। দেনমোহর হিসেবে যেকোনো পরিমাণ অর্থ নির্ধারণ করা যায়। কিন্তু কোনো অবস্থায়ই স্বামী ন্যূনতম ১০ দিরহাম বা সমপরিমাণ অর্থ অপেক্ষা কম নির্ধারণ করতে পারবেন না। বিয়ের সময় দেনমোহর নির্ধারণ করা না হলে বিয়ের পরও তা নির্ধারণ করা যায়। তবে সে ক্ষেত্রে ন্যায্য দেনমোহর নির্ধারণের সময় সামাজিক মর্যাদা ও বাবার পরিবারের অন্যান্য নারী সদস্যের—যেমন, স্ত্রীর আপন বোন, ফুপু ও ভাইয়ের মেয়ের—দেনমোহরের পরিমাণ বিবেচনা করাকে প্রাধান্য দিতে হবে। তা ছাড়া প্রয়োজনে আদালতের মাধ্যমে দেনমোহর নির্ধারণ করা যায় কিংবা স্বামী কর্তৃক যেকোনো সময় দেনমোহরের পরিমাণ বৃদ্ধি করা যায়। তবে দেনমোহর প্রদান ছাড়া বিয়ে অবৈধ হয়ে যায় না। শর্ত হচ্ছে, বিয়ের পর স্ত্রীকে অবশ্যই উপযুক্ত দেনমোহর প্রদান করতে হবে। অনেক সময় দেনমোহর নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়। অনেক ভ্রান্ত ধারণাও রয়েছে। অনেক সময় দেখা যায়, বিবাহবিচ্ছেদের সময় বলা হয়, স্ত্রী নিজ ইচ্ছা থেকে, নিজে উদ্যোগী হয়ে তালাক দিচ্ছেন। এতে যুক্তি তুলে ধরা হয় যে স্ত্রীর দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করতে হবে না। এটি ভুল ধারণা। স্বামী বা স্ত্রী যে-ই তালাক দিন না কেন, দেনমোহরের টাকা অবশ্যই প্রদান করতে হবে। দেনমোহরের টাকা মাফ করা যায়, তবে সে জন্য কিছু শর্ত আছে। স্ত্রীর পূর্ণ সমর্থন থাকতে হবে এবং কোনো প্রকার প্ররোচিত না হয়ে মাফ করতে হবে। কারও দ্বারা প্রভাবিত হওয়া যাবে না।
দেনমোহরের প্রকারভেদ
দেনমোহর দুই প্রকার। যেমন—
১. তাৎক্ষণিক দেনমোহর: তাৎক্ষণিক দেনমোহর স্ত্রীর চাওয়ামাত্র পরিশোধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্ত্রী তাৎক্ষণিক দেনমোহর না পাওয়া পর্যন্ত স্বামীর সঙ্গে বসবাস (দাম্পত্য মিলন) করতে অস্বীকার করতে পারেন।
২. বিলম্বিত দেনমোহর: যে দেনমোহর বিবাহবিচ্ছেদ (তালাক) অথবা স্বামীর মৃত্যুর পর পরিশোধ করতে হয়, তাকেই বিলম্বিত দেনমোহর বলে। এ ছাড়া স্বামী সালিসি পরিষদের অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করলে স্ত্রী বা স্ত্রীদের দাবিক্রমে বিলম্বিত দেনমোহর পরিশোধ করতে হবে।
দেনমোহরের একটা অংশ থাকে যা তাৎক্ষনিক, অর্থাৎ স্ত্রী দাবী করা মাত্র দিয়ে দিতে হয় ।
সাধারণত কাবিননামার নির্দিষ্ট কলামে তাৎক্ষনিক দেনমোহরের অংশ উল্লেখ থাকে । অংশ দেওয়া হয়ে গেলে উসুল বলা হয় । মনে করি মোট দেনমোহর চার লক্ষ টাকা । পঞ্চাশ হাজার টাকা তাৎক্ষনিক দেনমোহর হিসেবে ধার্য হলো । এই ধার্যকৃত টাকা দিয়ে দিলে লেখা থাকবে উসুল পঞ্চাশ হাজার টাকা । সাধারণত অলঙ্কার বা অন্যকোন মূল্যবান সামগ্রী প্রদান সাপেক্ষে উসুল দেওয়া হয় ।
অপরদিকে বিলম্বিত দেনমোহর বলতে বুঝায় যা বিলম্বে প্রদান করা হবে ,অর্থাৎ স্ত্রীর চাওয়া মাত্র আদায়যোগ্য নয় ।
বিলম্বিত দেনমোহর আদায়যোগ্য হয় ৩ টি ঘটনা সাপেক্ষে -
১) স্বামী মৃত্যুবরণ করলে
২) বিবাহ বিচ্ছেদ হলে
৩) অনুমতি ছাড়া একাধিক বিয়ে করলে
দেনমোহরের ক্ষেত্রে একটা বিষয় পরিস্কার যে, দেনমোহর মাফ হয় না । অনেক কেইস স্টাডিতে দেখা গেছে, বাসর রাতে স্বামী প্রবর বেশ আবেগে গদ গদ হয়ে ধর্মীয় দোহাই দিয়ে স্ত্রীকে দেনমোহর মাফ করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে । সরলা স্ত্রী ইমোশনালী ব্ল্যাক মেইল্ড হয়ে অবগুণ্ঠনে মুখ লুকিয়ে মাফ করে দিয়েছে বটে । কিন্তু তাতে দেনমোহর মাফ হয় না । নারী অথবা পুরুষ তালাক যে - ই দিক না কেন স্ত্রীকে তার প্রাপ্য দেনমোহর বুঝিয়ে দিতে হবে । দেনমোহর আদায়ের জন্য মোহরানা দাবী এবং তা প্রত্যাখ্যান হবার ৩ বছরের মধ্যে মোকদ্দমা করতে হবে । অন্যথায় দাবী তামাদি হয়ে যাবে । তবে স্ত্রী নিজের ইচ্ছায় কোন চাপ প্রয়োগ ছাড়া স্ব ইচ্ছায় মাফ করতে পারেন।
দেনমোহর কতো হবে এটি নির্ধারণের ক্ষেত্রে কিছু ক্রাইটেরিয়া মেইন টেইন করা হয় । যেমন -
• কনের শিক্ষাগত যোগ্যতা , পারিবারিক স্ট্যাটাস
• কনের ফুফু, খালাদের দেনমোহরের পরিমাণ
যদিও এগুলো আইনত বাধ্যতামূলক নয় । তথাপি প্রচলিত সামাজিক নিয়ম হিসেবে এগুলো মেইন টেইন করা হয় ।
দেনমোহর আদায় করার পদ্ধতি:
আইন অনুযায়ী দেনমোহর স্বামীকে অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। কারণ, দেনমোহর স্ত্রীর আইনগত, একচ্ছত্র অধিকার এবং সব সময়ই স্বামীর ঋণ। স্ত্রী পারিবারিক আদালতে মামলা করে দেনমোহর আদায় করতে পারবেন। দেনমোহর দাবি করার পর স্বামী তা পরিশোধ না করলে স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে পৃথক থাকতে পারবেন এবং ওই অবস্থায় স্বামী অবশ্যই তাঁর ভরণপোষণ করতে বাধ্য থাকবেন। সাধারণত বিয়ের সময় দেনমোহর নির্ধারণ করা হয়। দেনমোহরের কিছু পরিমাণ বিয়ের সময় তাৎক্ষণিক দেনমোহর হিসেবে দেওয়া হয় এবং তা কাবিননামায় লিখিত থাকে। বাকিটা বিলম্বিত দেনমোহর হিসেবে ধরা হয়।
কখন দেনমোহরের অর্ধেক দিতে হবে
বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য মিলন অর্থাৎ সহবাসের আগে বিবাহবিচ্ছেদ হলে কিংবা স্বামীর মৃত্যু হলে সম্পূর্ণ দেনমোহরের অর্ধেক পরিশোধ করতে হবে।
দেনমোহর আদায়ের অধিকার
বিবাহবিচ্ছেদ হলে বা বিলম্বিত তালাক হলে অথবা স্বামীর মৃত্যু হলে কোনো স্ত্রী তাঁর বিলম্বিত দেনমোহর আদায়ের জন্য পারিবারিক আদালতে মামলা করে তা আদায় করতে পারেন। তবে তালাক বা স্বামীর মৃত্যুর তিন বছরের মধ্যে মামলা করতে হবে। স্বামীর মৃত্যু হলে বকেয়া দেনমোহর ঋণের মতো হয়। এটি অবশ্যই শোধ করতে হয়। স্বামীর উত্তরাধিকারীরা এটি প্রদানে বাধ্য। অন্যথায় মৃত স্বামীর উত্তরাধিকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করে তা আদায় করা যায়। স্ত্রী আগে মারা গেলেও দেনমোহর মাফ হয় না। স্ত্রীর উত্তরাধিকারীরা এই দেনমোহরের হকদার। তারাও মামলা করার অধিকার রাখে।
দেনমোহর হলো স্ত্রীর প্রতি সম্মানসূচক স্বামীর একটি আবশ্যিক দেনা। মুসলিম আইন অনুযায়ী দেনমোহর হলো কিছু টাকা বা অন্য কোনো সম্পত্তি যা স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে বিয়ের মূল্যস্বরূপ পাওয়ার অধিকারী হয়। একজন নারীর অধিকারপ্রাপ্তিতে প্রথমেই দেনমোহরপ্রাপ্তির বিষয়টি চলে আসে। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, ‘আর তোমরা নারীদেরকে তাদের মোহর স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে প্রদান করবে, সন্তুষ্ট চিত্তে তারা মোহরের কিয়দংশ ছেড়ে দিলে তোমরা তা স্বচ্ছন্দে ভোগ করবে।’ (সুরা আন-নিসা, আয়াত-৪)। এ ছাড়া কুরআনের আরো এক আয়াতে দেনমোহরের অধিকার প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘হে নবী! আমি তোমার জন্য বৈধ করেছি তোমার স্ত্রীদেরকে, যাদের মোহর তুমি প্রদান করেছো।’ (সুরা আল-আহজাব, আয়াত-৫০) দেনমোহর ইসলামে এমন একটি বিষয়, যার মাধ্যমে স্ত্রীর অধিকার পাকাপোক্ত করা হয়। পরিশোধের ভিত্তিতে দেনমোহর দুই ধরনের হয়। যথা- মুয়াজ্জল (আশু) দেনমোহর এবং মু-অজ্জল (বিলম্বিত) দেনমোহর। আশু দেনমোহর চাওয়ামাত্র পরিশোধ করতে হয়। আর বিলম্বিত দেনমোহর হচ্ছে, দেনমোহরের যে অংশটুকু স্বামীর মৃত্যুর পর, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিয়ে বিচ্ছেদ বা তালাকের পর স্ত্রী পেয়ে থাকেন। প্রচলিত ধারণা রয়েছে যে, তালাকের কারণে দেনমোহর দিতে হয়। কিন্তু এটি একটি ভুল ধারণা। দেনমোহর বিয়ের শর্ত। তালাকের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই।
বিয়ে বিচ্ছেদ হোক বা না হোক দেনমোহর পরিশোধ করা স্বামীর দায়িত্ব।
দেনমোহর স্ত্রীর অধিকার সংরক্ষণের জন্য এবং স্ত্রী অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দেয়া হয়। এটি মূলত স্বামীর ওপর আইনগত আরোপিত একটি দায়। মানুষের মাঝে একটি ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যে, বিয়ের রাতে স্বামী চাইলে স্ত্রীর কাছ থেকে দেনমোহর মাফ করিয়ে নিতে পারেন, তবে তা মাফ হয়ে যায়। কিন্তু আইন ও আদালতে এ ধরনের যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের দেশে ১৯৬১ সালে প্রণীত মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন (কাবিননামা) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেখানে বিবাহিত নারীদের দেনমোহরের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। স্বামী সেই দেনমোহর দিতে বাধ্য। এই আইনের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো প্রথমত: যাতে বিবাহের একটি লিখিত দলিল থাকে, দ্বিতীয়ত: যাতে দেনমোহরানার বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারিত থাকে। দেনমোহরের কোনো সুনির্দিষ্ট পরিমাণ নেই।
দেনমোহর বিয়ের সময় বা বিয়ের পরও নির্ধারণ করা যায়। উপযুক্ত দেনমোহর নির্ধারিত হয় বর-কনের পারস্পরিক ও সামাজিক-অর্থনৈত
িক অবস্থার ওপর নির্ভর করে। এতে উভয়পক্ষের অভিভাবকদের সম্মতি থাকে। দেনমোহর নির্ধারণ কম বা বেশিতে আইনগত কোনো বাধা নেই, তবে টাকার অংশ স্বামীর আর্থিক সামর্থ্যরে মধ্যে থাকা বাঞ্ছনীয়। দেনমোহরের পরিমাণ এতো বেশি নির্ধারণ করা উচিত নয় যা স্বামীর পক্ষে দেয়া অসম্ভব। স্বামী বা স্বামীর পরিবার উপহার হিসেবে স্ত্রীকে যা দেবে তা অবশ্যই দেনমোহর নয়। বিয়ের পর স্বামী স্ত্রীকে অনেক কিছুই দিতে পারেন। স্বামী যদি দেনমোহর হিসেবে স্ত্রীকে দেন, তবেই তা দেনমোহর বলে বিবেচিত হবে।
সাধারণত, বরপক্ষ উপহার সামগ্রী দিয়ে দেনমোহর পরিশোধ করার পর যখন তারা বিভিন্ন জনের কাছে বলে বেড়ায় মেয়েকে আমরা এতো ভরি স্বর্ণ দিয়েছি কিংবা ফ্ল্যাটবাড়ি বা জমি দিলাম সেক্ষেত্রে এর যথাযথ উত্তর কি হতে পারে? প্রশ্ন জাগে বিয়ের সময়কার গহনা, শাড়ি ইত্যাদি কি দেনমোহরের অংশ হিসেবে ধরা হবে কিনা? বিয়ের সময় গহনা, শাড়ি ইত্যাদির মূল্য দেনমোহরের একটি অংশ ধরে উসুল লিখে নেয়া হয়। সেক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, গহনা, শাড়ির মূল্য ধরে নিকাহনামার সংশ্লিষ্ট ধারায় উসুল হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করলেই তা দেনমোহরের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে যেভাবেই, যতোটুকু পরিমাণে দেয়া হোক না কেন প্রত্যেক মেয়ের উচিত তার দেনমোহর নামক অধিকার বিষয়ে সচেতন হওয়া।
*** ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইনঃ
এই আইনের ধারা ১০ এ মোহরানা সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, বিবাহের কাবিননামায় কি ধরণের দেনমোহর স্ত্রীর পাওনা হবে, তা নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা না থাকলে দেনমোহরের সমুদয় অর্থ স্ত্রী চাহিবামাত্রই পরিশোধযোগ্য। যদি সালিশী পরিষদের আদেশ বলে ইহা কার্যকরী হলে স্ত্রীর তা পাওনা হয়ে যায়। উহা পরিশোধ না করলে ১ মাস কারাদন্ড বা ২০০ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড হতে পারে।
( পোষ্টি প্রয়োজনীয় মনে হলে লাইক দিয়ে শেয়ার করে আপনার ওয়ালে রেখে দিন!! )
__ বাংলাদেশ আইনগত অধিকার __
See Translation
Oct 7, 2016 · Public · in Timeline Photos
View Full Size · Send as Message ·
Report
153
View previous comments…
Hafez Khalilur Rahman
আর যদি খলআ করে?
Like · React · Reply · Report · Oct 17, 2016
Md Amdad
nari odhikar er kotha to bohut suni, kakhono purush odhikarer kotha kakhono sunlam na.purush er janmo ki sudhu bina betone das howar jonnojonno. r den mohorer name ekhon banijjo cholche desh jure. sudhu ekpokkhe kotha bolle hobena
Like · React · Reply · Report · Nov 19, 2016
Rasel Mahmud
আমার বাই মারা গেছে তার দুটি মেয়ে আছে তার কোন জায়গা নাই। এরা ১০ বছর দরে আলাদাভাবে থাকতেন। বাবিকে বলছি এখন আমাদের সাথে থাকতে বাবি থাকবে না।এখন দেন মোহরানা চায়। এবং ভাইয়ের অংশ বাগ চায় বাবা বেছে আচেন সে কি দেন মোহরানা এবং সম্পতির কি বাগ পাবে।মেয়ে দুইটি,ছোট ১০ বছরের নিচে।বাবা বলছে বাইয়ের অংশ মেয়ের নামে করে দিবে। বাবি বলে বাবির কাছে দিতে হবে।এখন সে মামলা করবে। এখন করনিয় কি?
Like · React · Reply · Report · Nov 21, 2016
Nurul Amin replied · 2 replies
Hasan Sardar
ব্যাবসা করার আিইন
Like · React · Reply · Report · Nov 24, 2016
Keka Sarker
কাবিন যতো দেয়া হয় তা যদি অসিকার করে তখন কি করা হয়
Like · React · Reply · Report · Dec 4, 2016
বাংলাদেশ আইনগত অধিকার replied · 1 reply
Md Rana
বিয়ের ১৫দিন পর বউ বাড়ি থেকে চলে গেছে ।যাওয়ার পর এখন দেনমোহর চায় আমি কি করবো এখন
Like · React · Reply · Report · Mar 7
Masir Sk replied · 3 replies
রঈীন মন রঈীন মন
আচচা ডিভোস দিয়ে ৩ মাস পর বা আগে বিয়ে করলে কোনো সমাস্য হবে
Like · React · Reply · Report · Apr 28
রঈীন মন রঈীন মন
আচচা ডিভোস দিয়ে ৩ মাস পর বা আগে বিয়ে করলে কোনো সমাস্য হবে
Like · React · Reply · Report · Apr 28
এস এম সানাউল্লাহ
পারিবারিক আইনে ১০লক্ষ টাকা দেনমোহর চেয়ে মামলা করেছি।
আসামী হাজির হচ্ছেনা
মামলা ডিগ্রি পেতে কত মাস লাগতে পারে?
আচ্ছা দেন মোহরের টাকা পরিশোধ কররার নির্দিষ্ট আইনি সময়সীমা আছে কি?
আমি শুনতেছি আসামি চাইলে ১০বছর ঘুরাতে পারবে।
কিস্তি সংখ্যা ৫০০০হাজার করে দিবে বলে।
এইটা কতটুকু সত্য?
Li

Sunday, November 5, 2017

আশুলিয়া প্রেস ক্লাব

আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি জয় ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান নিপু
আশুলিয়া (ঢাকা): ব্যাপক উত্তেজনা ও আনন্দের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে আশুলিয়া প্রেসক্লাবের পঞ্চম দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন।
এতে আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি মোজাফ্ফর হোসনে জয় ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন যমুনা টিভির সাভার প্রতিনিধি মাহফুজুর রহমান নিপু।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আশুলিয়া প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করেন।
সহ-সভাপতি দৈনিক যুগান্তরের আশুলিয়া প্রতিনিধি মেহেদী হাসান মিঠু ও দৈনিক ভোরের অপেক্ষা পত্রিকার ঢাকা জেলা প্রতিনিধি বাবুল আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বনিক বার্তার আশুলিয়া প্রতিনিধি খোকা মুহাম্মদ চৌধুরী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক দেশ টিভির সাভার প্রতিনিধি শাহিনুর রহমান শাহিন, কোষাধ্যক্ষ সকালের খবরের আশুলিয়া প্রতিনিধি রাকিব হাসান জিল্লুসহ প্রেসক্লাবে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কার্য পরিষদ গঠন হয়েছে।
দিনব্যাপী উৎসবমুখর পরিবেশেরর মধ্য দিয়ে সকাল ১০টা থেকে টানা দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়।
প্রেসক্লাবের ৫১ জন সদস্যের মধ্যে ৫০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এ নির্বাচনে ২৮ জন প্রার্থী ১২টি পদের জন্য ভোটে লড়াই করেন। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পূর্বেই নির্বাচিত হন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৭
জিপি/এমজেএফ

Wednesday, November 1, 2017

জান্নাত

রাজস্ব বিক্রয় আইন, ১৭৯৩ সাধারণভাবে ’সূর্যাস্ত আইন’ নামে পরিচিত। এই আইনটি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত সংক্রান্ত আইনসমষ্টির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ১৭৯৩ সালের ১৪ নং রেগুলেশনে বিধান করা হয়েছিল যে, রাজস্ব পরিশোধে অক্ষম জমিদারদের জমি প্রকাশ্য নিলামে বিক্রয় করে জমিদারদের বকেয়া রাজস্ব আদায় করা হবে। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের অধীনে জমি জমিদারদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে পরিগণিত হয়।
আরও বিস্তরিত তথ্য পাবেন এখানে

‘সূর্যাস্ত আইন’ বা ‘সান্ধ্য আইন’ - এক নজরে ঝাঁকুনি দেয়ার মতই দুটো শব্দ। হ্যাঁ, প্রথম অনুভূতি সেরকমই ছিল। ইতিহাস বলছে এখন থেকে দুশো বছরেরও আগে ইংরেজ ঔপনিবেশিক শাসকেরা তৎকালীন বাংলা-বিহার-উড়িষ্যায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নামে যে ভূমি ব্যবস্থা চালু করেছিল “সূর্যাস্ত আইন” ছিল তার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সামন্তবাদী উৎপাদন ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার অন্যতম হাতিয়ার ছিল এই আইন। সেই সঙ্গে ইংরেজ প্রভুর শাসন-শোষণ, নিপীড়ণ-নিয়ন্ত্রণেরও খুঁটি বটে।
কিন্তু এতকাল পরে রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হলের আবাসিক ছাত্রীদের জন্য এ কোন সূর্যাস্ত আইন চালু হল? এখন না থাকলেও, ঢাক বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও তো এই “সূর্যাস্ত আইন” প্রচলিত ছিল কয়েক বছর আগেও। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর এই দুটো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা সেই মধ্যযুগীয় নিস্পেষণ থেকে মুক্তি পেয়েছে। অথচ একই দেশের অন্যতম বড় দুটো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা আজও সূর্যাস্ত আইনের নিপীড়নের শিকার (সমকাল, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১২, শনিবার, পৃষ্ঠা ২)। ছাত্রী হল কি তবে জেনানা ফাটক ? মেয়েদের জেলখানা ? যেখানে সব ছাত্রীকে ফিরে আসতে হয় সূর্য অস্ত যাওয়ার পরপরই! হাঁস-মুরগী যেমন খোয়াড়ে ঢোকে, সেরকম!!
না, ‘‘সূর্যাস্ত আইন’’ বা ‘‘সান্ধ্য আইন’’ শব্দ দুটো বিশ্ববিদ্যালয় আইনের কোথাও ব্যবহৃত হয়নি। কর্তৃপক্ষ সেটা স্বীকারও করে না। তবে বলা হয়ে থাকে, এই যে অসংখ্য মেয়ে প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলে থাকতে আসে তাদের উপযুক্ত নিরাপত্তা বিধানের জন্য এইসব নিয়ম-কানুনের প্রয়োজন আছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে যে দায়িত্ব পেয়েছেন সেটা তারা অবশ্যই উপক্ষা করতে পারেন না। অতএব তারা সর্বান্তকরণে চেষ্টা করেন তাদের দায়িত্ব পালনের। আমাদের আপত্তি সেখানেই। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়ে আবাসিক ছাত্ররা স্বাধীনভাবে দিনে-রাতে চলাফেরার অধিকার ভোগ করে, ছাত্রীরা কেন সেটা পারবে না? তীব্র বৈষম্যমূলক এসব আইন কেন? মেয়েদের জন্য কেন এই কারাগারের রকমফের ? না-কি ওরা মানুষই না, ভিন্ন প্রজাতির অন্য কিছু !?
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলগুলোতে চালু এইসব আইন অবশ্য এখনকার নয়, সেই ১৯২১-২২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরুর প্রাক্কালে প্রণীত হয়েছিল। তারপর গোটা উপমহাদেশে ঘটে গেছে তুলকালাম কত কান্ড; রাষ্ট্র-বিপ্লব থেকে শুরু করে ভাঙা-গড়া-উত্থান-পতন অনেক কিছুই হয়েছে। গড়িয়ে গেছে অনেক পানি পদ্মা-মেঘনা-যমুনা-কর্ণফুলী দিয়ে। কিন্তু বদলায়নি ছাত্রী হলগুলোর ওইসব আইন। সেসব আইনের বিস্তারিত বর্ণনায় আমরা যাব না। ১৫ সেপ্টেম্বর সমকালে-র প্রতিবেদনের মাধ্যমে সচেতন পাঠকমাত্রেরই তা জানার কথা। এবং এই প্রেক্ষাপটে স্বীকার করতেই হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যাপারটিকে কোনমতেই ছোট করে দেখতে পারেন না। পারে না, পারছে না ছাত্রীরাও। প্রশ্নটির সঙ্গে আমাদের গোটা সমাজে মেয়েদের অবস্থান, তাদের অধিকার ও স্বাধীনতার বিষয়টি গভীরভাবে জড়িত। হলে যারা থাকতে আসে তাদের অভিভাবকদের বেশিরভাগই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে নিজেদের একটা গ্রহণযোগ্য বিকল্প হিসাবে ধরে নিয়েই নিজের নিজের মেয়েদের হলে থাকতে পাঠান। এই মেয়েদের একটা ন্যূনতম নিরাপত্তা ও সম্মানজনক বসবাসের নিশ্চয়তা তারা আশা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে। কারণ তারা জানেন এবং মানেন এদেশের পথঘাট এখনও মেয়েদের জন্য নিরাপদ হয়ে ওঠেনি। অধ:পতিত এই বিকৃত-বিকলাঙ্গ-ভাঙাচোরা সমাজের সর্বত্র অবাধে বিচরণ করে মানুষরুপী দুর্বত্তরা, ইতরগুলো। নিজেদের মেয়ে-বোনের জন্য দুশ্চিন্তা এবং তাদের নিরাপত্তার চিন্তা তাদেরকে উদ্বিগ্ন করে রাখবে এটা খুবই স্বাভাবিক। মেয়েরা বড় হয়েছে, যথেষ্ট দায়িত্বজ্ঞান জন্মেছে তাদের, তারা ভোট দিতে পারে, অনার্স-মাস্টার্স পড়ছে; তারপরও অভিভাবকেরা তো দুশ্চিন্তামুক্ত হতে পারেন না। আর তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অমন নির্বিবাদে চালু রাখতে পারেন গত শতাব্দীর বিশের দশকে প্রণীত আইন, যা কি-না প্রতি পদে পদেই ব্যঙ্গ করে চলছে আমাদের এই “আধুনিক” সমাজ ও তার নারীমুক্তি, নারী অধিকার ও নারী স্বাধীনতার বুলিকে ।
হ্যাঁ, বুলিই বটে। নইলে এই একুশ শতকের দ্বিতীয় দশকে এসেও কেন এইসব উজ্জ্বল আলোকিত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মেয়েদের প্রতি সন্ধ্যায় মুখোমুখি হতে হয় “সূর্যাস্ত আইন”-র ? তার কারণটাও তো অজানা নয়। ওই যে হল গেটের তালা কিংবা কঠোর দ্বাররক্ষী, এরা তো সমাজবিচ্ছিন্ন কোন ব্যাপার নয়। প্রতীক তারা গোটা সমাজব্যবস্থার। যার অধীনে মেয়েরা প্রতিনিয়ত নিয়ন্ত্রিত, নির্যাতিত ও নিপীড়িত হচ্ছে - আজও, এই “আধুনিক” বাংলাদেশেও। হলের ভেতরে যে ফ্যাশনদুরস্ত বসবাসের ব্যবস্থা আছে তা বৃহত্তর সমাজের নারী নিগ্রহের মারাত্নক চিত্রটাকে কি ঢেকে রাখতে পারে? না, ছাত্রীহলগুলো কোন বিছিন্ন ব্যাপার নয়। বিচ্ছিন্ন নয় রাজশাহী কিংবা চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ও বৃহত্তর সমাজ থেকে। ছাত্রীহলে প্রচলিত যে বিধি-ব্যবস্থা নিয়ম-কানুন, তা গড়ে উঠেছে এই নষ্ট সামাজের চাওয়া-পাওয়ার উপর ভিত্তি করেই। গোটা সমাজ যেখানে মেয়েদের সম্মান দিতে পারে না, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেখানে আলাদাভাবে কতটুকু পারেন বা পারবেন এগিয়ে যেতে? সমাজে যেখানে সামন্তবাদী ভূত-প্রেতের অপ্রতিহত অন্ধকারের রাজত্ব এখনও দোর্দন্ড প্রতাপে বিদ্যমান সেখানে ছাত্রীহলে ওইসব অমানবিক আইন এখনও চালু থাকবে তাতে কি খুব অবাক হওয়ার কিছু আছে?
ইংরেজ প্রণীত “সূর্যাস্ত আইন” ছিল পুরোপুরী সামন্তবাদী প্রয়োজন থেকে উদ্ভূত। আপাতদৃষ্টিপে প্রেক্ষিত ভিন্ন বলে মনে হলেও আজকের বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু “সূর্যাস্ত আইন” প্রকৃতিতে ও মেজাজে কি আসলেও অতটা আলাদা ? না, আমরা তা মনে করি না। পুরুষশাসিত পিতৃতান্ত্রিক সমাজকোঠামোতে নারীর অধস্তনতা ও অধিকারহীনতার বিষয়টিও আসলে আগাগোড়াই সামন্ততান্ত্রিক ধ্যান-ধারণা থেকে উদ্ভূত। সেই সামন্তবাদী ব্যবস্থায় জমি যেমন ব্যক্তিপুরুষের মালিকানাধীন, মেয়েরাও তেমনি। জমির মত সে-ও পুরুষের সম্পত্তি বৈকি। আমাদের গ্রামে-গঞ্জে এখনও “জমি ও জরু” বলে একটি কথার চল আছে। “জরু” মানে স্ত্রী, ব্যাপকঅর্থে নারী। সেইজন্যই দেখা যায় মেয়েদের নিয়ন্ত্রণ ও শাসন করার কলা-কৌশল কল-কব্জাগুলো তাই সৃষ্টি হয়েছে সামন্তবাদী উপাদান-উপকরণ দিয়ে। যুগবিশেষে এখানে-সেখানে কিছু হের-ফের হলেও, সমাজের বহিরঙ্গে কিছুটা আধুনিকতার ছোঁয়া বা প্রলেপ লাগলেও আমরা প্রকৃত অর্থে সামন্তবাদী প্রভাবমুক্ত আধুনিক সমাজ এখনও গড়ে তুলতে পারিনি।
অতএব বিদ্যমান সমাজ-ব্যবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা মেয়েরা “সূর্যাস্ত আইন”-র শিকার হবেই। ছাত্রীহল থেকে এইসব আইন উঠে গেলেও বাইরের বৃহত্তর সমাজে কোটি কোটি সাধারণ মেয়েরা নিয়ন্ত্রিত ও নিগৃহীত হতেই থাকবে। আইনের বদল আমরা অবশ্যই চাই। কিন্তু এইসব অমানবিক আইন গড়ে উঠে যে সমাজের প্রয়োজনে সেই সমাজকেও না বদলালে আইনের প্রয়োগ সীমিত থেকে যেতে বাধ্য। অতএব শুধু হলের “সূর্যাস্ত আইন” নয়, আঘাত করতে হবে আসলে গোটা সমাজকাঠামোকেই। ভাঙতে হবে শুধু হলগেটের তালা নয়, বিদ্যমান সমাজ নামক বৃহৎ কারাগারটিকেও বিনাশ করা চাই। এ সমাজ পদে পদে বেড়ী পরায় মেয়েদের হাতে-পায়ে-দেহে-মনে-চেতনায়। তাই বদলাতে হবে সেই বিধিব্যবস্থার কাঠামোটিকে। নারী-পুরুষ সাম্যতার আগে তা নিশ্চিত হবে না। সমাজ ও তার মানসিকতা পরিবর্তনের সেই কাজটি অনেক বেশি জরুরী, সে সংগ্রাম অনেক বেশি কঠিন। কিন্তু এছাড়া অন্য কোন পথও তো নেই, নেই