Sunday, February 18, 2018

ক্যাপাসিটর

“Capacitors : তারা কীভাবে কাজ করে?" একটি ক্যাপাসিটরের (মূলত condenser নামে পরিচিত) একটি বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের শক্তি সঞ্চয় ব্যবহৃত একটি প্যাসিভ দুই টার্মিনাল বৈদ্যুতিক উপাদান। ব্যবহারিক ক্যাপাসিটারগুলিকে এই ভাবে প্রস্তুত করা হয়, কিন্তু সব অস্তরক (ইনসুলেটর) দ্বারা বিভক্ত অন্তত দুটি বৈদ্যুতিক conductors ধারণ করে; যেমন, একটি সাধারণ নির্মাণ ফিল্ম অন্তরক পাতলা স্তর দ্বারা পৃথকীকৃত ধাতু foils গঠিত. ক্যাপাসিটারগুলিকে ব্যাপকভাবে অনেক সাধারণ বৈদ্যুতিক ডিভাইস বৈদ্যুতিক সার্কিট অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একটি ক্যাপাসিটরের ভূমিকা কি?আমরা একটি ক্যাপাসিটরের প্রতীক থেকে দেখতে পাই, এটি একটি স্থান দ্বারা পৃথক দুটি প্লেট বা খুঁটি আছে। একটি ক্যাপাসিটর এই ভাবে পথ প্রস্তুত করা হয। একটি ক্যাপাসিটরের অভ্যন্তরে একটি ইনসুলেটর বা অস্তরক দ্বারা পৃথক দুটি আবহ প্লেট নিয়ে গঠিত। Working principle: একটি ভোল্টেজ (ডিসি) প্লেট আবহ তার জুড়ি প্রয়োগ করা হলে, একটি বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের তাদের জুড়ে নির্মাণ করা হয়। এই ক্ষেত্রটি বা শক্তি চার্জ আকারে প্লেট জুড়ে সংরক্ষিত হয়। ভোল্টেজ, চার্জ এবং ক্যাপ্যাসিট্যান্স মধ্যে সম্পর্ক সূত্র মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়: C = Q/V.যেখানে = Capacitance, Q = Charge and V = Voltage.সুতরাং এটা স্পষ্টতই ক্যাপাসিটরের এর প্লেট জুড়ে সম্ভাব্য ড্রপ ভোল্টেজ বা ক্যাপাসিটরের সঞ্চিত ক্ষণিক চার্জ সমানুপাতিক তা উপরোক্ত সূত্র থেকে যাবে বোঝা। ক্যাপ্যাসিট্যান্স পরিমাপ একক Farad হয়। একটি ক্যাপাসিটরের মান (Farads মধ্যে) তা যে পরিমাণ চার্জ সঞ্চয় করতে পারে উপর নির্ভর করে।ক্যাপাসিটরের ব্যবহার কোথায়?ইলেকট্রনিক সার্কিটে, ক্যাপাসিটারগুলিকে সাধারণত নিম্নলিখিত উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়:Filter AC: একটি পাওয়ার সাপ্লাই সার্কিট একটি ফিল্টার ক্যাপাসিটরের ছাড়া অকেজো হতে পারে. এমনকি পুরো তরঙ্গ সংশোধন পরে, একটি পাওয়ার সাপ্লাই এর ভোল্টেজ ঢেউ পূর্ণ হতে পারে। একটি ফিল্টার ক্যাপাসিটরের এই ভোল্টেজ ঢেউ smooth করে এবং তার অভ্যন্তরীণ সঞ্চিত শক্তির পালনের দ্বারা ভোল্টেজ "notches" বা "ফাঁক" পূর্ণ করে. সুতরাং এটি সংযুক্ত সার্কিট হয় একটি ক্লিন ডিসি সরবরাহ ভোল্টেজ প্রাপ্ত করতে পারবেন। To Block DC: ক্যাপাসিটারগুলির একটি খুব আকর্ষণীয় চরিত্র ,DC (ডাইরেক্ট কারেন্ট) ব্লক; এটির মাধ্যমে DC (ডাইরেক্ট কারেন্ট)পাস করার অনুমতি দেয় না এবং AC (বর্তমান পর্যায়ক্রমে)পাস করার অনুমতি দেয়। এটির মাধ্যমে পাস করার অনুমতি দেয় না। অনেক জটিল ইলেকট্রনিক সার্কিট অভ্যন্তরীণ অপারেশন ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে যা আসলে ছোট AC ভোল্টেজের। কিন্তু প্রতিটি বর্তনীতে একটি DC যেমন দরকারী , তেমন কখনও কখনও, এটা বর্তনীতে সীমাবদ্ধ এলাকায় প্রবেশ থেকে DC ব্লক খুব অপরিহার্য হয়ে যায়। এই কার্যকরভাবে ফ্রিকোয়েন্সি অংশ ডিসি পাস ব্লক যা অনুমতি ক্যাপাসিটারগুলিকে ব্যবহার করে পাল্টা হয়। To Resonate: (অনুরণন করার জন্য):সংলগ্ন ডায়াগ্রাম, একটি ক্যাপাসিটরের দেখানো হয়েছে পাবো একটি দীক্ষাগুরু সঙ্গে কনজুগেটেড তাদের মান দ্বারা সংশোধন করা হয়েছে, যা একটি নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সি অনুরণন হবে. সহজ ভাষায় জোড়া সাড়া হবে এবং একটি নির্দিষ্ট বহিরাগত প্রয়োগ ফ্রিকোয়েন্সি থেকে লক এবং একই ফ্রিকোয়েন্সি নিজেই এ oscillating শুরু হবে। আচরণ ভাল আরএফ সার্কিট, ট্রান্সমিটার, ধাতু ডিটেক্টর ইত্যাদি শোষিত হয়। সাধারণভাবে আপনি এখন একটি ক্যাপাসিটরের কি বুঝতে পেরেছেন? কিন্তু একটি ক্যাপাসিটরের কনফিগার করা সম্ভব যার মাধ্যমে এখনও অনেক বিভিন্ন জটিল উপায় আছে। আশা করছি আপনি আমার next Article এ পাবেন। বিস্তারিত আরও জানতে ক্লিক করুন : http://www.eteforum.blogspot.com/
Electronic & Telecommunication Engineering - ETE
“Capacitors : তারা কীভাবে কাজ করে?"
একটি ক্যাপাসিটরের (মূলত condenser নামে পরিচিত) একটি বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের শক্তি সঞ্চয় ব্যবহৃত একটি প্যাসিভ দুই টার্মিনাল বৈদ্যুতিক উপাদান। ব্যবহারিক ক্যাপাসিটারগুলিকে এই ভাবে প্রস্তুত করা হয়, কিন্তু সব অস্তরক (ইনসুলেটর) দ্বারা বিভক্ত অন্তত দুটি বৈদ্যুতিক conductors ধারণ করে; যেমন, একটি সাধারণ নির্মাণ ফিল্ম অন্তরক পাতলা স্তর দ্বারা পৃথকীকৃত ধাতু foils গঠিত. ক্যাপাসিটারগুলি
কে ব্যাপকভাবে অনেক সাধারণ বৈদ্যুতিক ডিভাইস বৈদ্যুতিক সার্কিট অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
একটি ক্যাপাসিটরের ভূমিকা কি?আমরা একটি ক্যাপাসিটরের প্রতীক থেকে দেখতে পাই, এটি একটি স্থান দ্বারা পৃথক দুটি প্লেট বা খুঁটি আছে। একটি ক্যাপাসিটর এই ভাবে পথ প্রস্তুত করা হয। একটি ক্যাপাসিটরের অভ্যন্তরে একটি ইনসুলেটর বা অস্তরক দ্বারা পৃথক দুটি আবহ প্লেট নিয়ে গঠিত।
Working principle:
একটি ভোল্টেজ (ডিসি) প্লেট আবহ তার জুড়ি প্রয়োগ করা হলে, একটি বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের তাদের জুড়ে নির্মাণ করা হয়। এই ক্ষেত্রটি বা শক্তি চার্জ আকারে প্লেট জুড়ে সংরক্ষিত হয়। ভোল্টেজ, চার্জ এবং ক্যাপ্যাসিট্যান্স মধ্যে সম্পর্ক সূত্র মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়:
C = Q/V.যেখানে = Capacitance, Q = Charge and V = Voltage.সুতরাং এটা স্পষ্টতই ক্যাপাসিটরের এর প্লেট জুড়ে সম্ভাব্য ড্রপ ভোল্টেজ বা ক্যাপাসিটরের সঞ্চিত ক্ষণিক চার্জ সমানুপাতিক তা উপরোক্ত সূত্র থেকে যাবে বোঝা। ক্যাপ্যাসিট্যান্স পরিমাপ একক Farad হয়। একটি ক্যাপাসিটরের মান (Farads মধ্যে) তা যে পরিমাণ চার্জ সঞ্চয় করতে পারে উপর নির্ভর করে।ক্যাপাসিটরের ব্যবহার কোথায়?ইলেকট্রনিক সার্কিটে, ক্যাপাসিটারগুলিকে সাধারণত নিম্নলিখিত উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়:Filter AC: একটি পাওয়ার সাপ্লাই সার্কিট একটি ফিল্টার ক্যাপাসিটরের ছাড়া অকেজো হতে পারে. এমনকি পুরো তরঙ্গ সংশোধন পরে, একটি পাওয়ার সাপ্লাই এর ভোল্টেজ ঢেউ পূর্ণ হতে পারে। একটি ফিল্টার ক্যাপাসিটরের এই ভোল্টেজ ঢেউ smooth করে এবং তার অভ্যন্তরীণ সঞ্চিত শক্তির পালনের দ্বারা ভোল্টেজ "notches" বা "ফাঁক" পূর্ণ করে. সুতরাং এটি সংযুক্ত সার্কিট হয় একটি ক্লিন ডিসি সরবরাহ ভোল্টেজ প্রাপ্ত করতে পারবেন।
To Block DC: ক্যাপাসিটারগুলির একটি খুব আকর্ষণীয় চরিত্র ,DC (ডাইরেক্ট কারেন্ট) ব্লক; এটির মাধ্যমে DC (ডাইরেক্ট কারেন্ট)পাস করার অনুমতি দেয় না এবং AC (বর্তমান পর্যায়ক্রমে)পাস করার অনুমতি দেয়। এটির মাধ্যমে পাস করার অনুমতি দেয় না। অনেক জটিল ইলেকট্রনিক সার্কিট অভ্যন্তরীণ অপারেশন ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে যা আসলে ছোট AC ভোল্টেজের। কিন্তু প্রতিটি বর্তনীতে একটি DC যেমন দরকারী , তেমন কখনও কখনও, এটা বর্তনীতে সীমাবদ্ধ এলাকায় প্রবেশ থেকে DC ব্লক খুব অপরিহার্য হয়ে যায়। এই কার্যকরভাবে ফ্রিকোয়েন্সি অংশ ডিসি পাস ব্লক যা অনুমতি ক্যাপাসিটারগুলিকে ব্যবহার করে পাল্টা হয়।
To Resonate: (অনুরণন করার জন্য):সংলগ্ন ডায়াগ্রাম, একটি ক্যাপাসিটরের দেখানো হয়েছে পাবো একটি দীক্ষাগুরু সঙ্গে কনজুগেটেড তাদের মান দ্বারা সংশোধন করা হয়েছে, যা একটি নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সি অনুরণন হবে. সহজ ভাষায় জোড়া সাড়া হবে এবং একটি নির্দিষ্ট বহিরাগত প্রয়োগ ফ্রিকোয়েন্সি থেকে লক এবং একই ফ্রিকোয়েন্সি নিজেই এ oscillating শুরু হবে। আচরণ ভাল আরএফ সার্কিট, ট্রান্সমিটার, ধাতু ডিটেক্টর ইত্যাদি শোষিত হয়।
সাধারণভাবে আপনি এখন একটি ক্যাপাসিটরের কি বুঝতে পেরেছেন? কিন্তু একটি ক্যাপাসিটরের কনফিগার করা সম্ভব যার মাধ্যমে এখনও অনেক বিভিন্ন জটিল উপায় আছে। আশা করছি আপনি আমার next Article এ পাবেন।
বিস্তারিত আরও জানতে ক্লিক করুন : http://www.eteforum.blogspot.com
/
নতুন কিছু
প্রকারভেদ:-
ইলেকট্রোলাইটিক ধারক /
ক্যাপাসিটর (Electrolytic Capacitor)
উচ্চ ধারক ত্ব-র জন্য এই ধারক সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। রেডিও-র ফিল্টার বাইপাস সার্কিট ে ব্যবহৃত হলেও AC সার্কিট ে ব্যবহার করা যায় না।
Ceramic Capacitor
সিরামিক ধারক / ক্যাপাসিটর (Ceramic Capacitor)
এতে সিরামিক কে ডাই-ইলেক্ট্রিক হিসেবে ব্যবহৃত হলেও এদের ধারকত্ব খুবই কম। মাত্র 1pF থেকে 1000pF এবং সর্বোচ্চ সহনীয় ক্ষমতা ৫০০ ভোল্ট পর্যন্ত। মূলত কাপলিং-ডিকাপলিং বাইপাস সার্কিট ের এটি ব্যবহৃত হয়।
Variable Capacitor
পরিবর্তনশীল বায়ু ধারক (Varaible Capacitor/Trimmer Capacitor)
এর মান প্রয়োজনমত বাড়ানো এবং কমানো যায়। এতে অনেকগুলো অর্ধবৃত্তাকার সমান্তরাল অ্যালুমিনিয়ামের পাত দুভাগে ভাগ করে বসান থাকে। পাতগুলোর মাঝে বায়ু ডাই-ইলেক্ট্রিক মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। টিউনিং
সার্কিট হিসেবে এদের ব্যবহার করা হয়।ক্যাপাসিটর ের একক হচ্ছে ফ্যারাড।
ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক সার্কিটে ক্যাপাসিটর বা ধারকের ব্যবহার অনস্বীকার্য।
ক্যাপাসিটর সম্পর্কে কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও তার উত্তর
ক্যাপাসিটর কি
এটি মূলত বৈদ্যুতিক চার্জ সঞ্চয়ক যন্ত্র বিশেষ। এর বাংলা অর্থ “ধারক”।
সার্কিটে ক্যাপাসিটর ের কাজ কি
এটি কোনো ইলেকট্রিক্যাল কিংবা ইলেকট্রনিক্স সার্কিটে যুক্ত হয় ও বৈদ্যুতিক চার্জ সঞ্চিত করে। আবার সার্কিটের প্রয়োজনে উক্ত জমাকৃত চার্জ অবমুক্ত করে। সহজ ভাবে বুঝতে একে খুব ছোট আকারের ব্যাটারির সাথে তুলনা করা যেতে পারে। ব্যাটারি এই বৈদ্যুতিক চার্জ দীর্ঘ সময়ের জন্য জমা করতে পারে। অপরদিকে ক্যাপাসিটর খুব স্বল্প সময়ের জন্য এই চার্জ জমা করতে পারে।
পাওয়ার সাপ্লাইতে কেমন ধরনের ক্যাপাসিটর ব্যবহার করবো
পাওয়ার সাপ্লাইতে একটু বড়, মোটা ও গুণগত মানে ভালো ধরনের ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা উচিৎ। যেহেতু পাওয়ার সাপ্লাই যেকোনো সার্কিট ও প্রজেক্টের প্রাণ। তাই একে ভাল মতো তৈরী করলে তা যেমন দীর্ঘস্থায়ী হয় তেমনি এর গুনগত মান ও ভালো থাকে। তাই পাওয়ার সাপ্লাইতে কোনো সময়ই কার্পণ্য না করে উপযুক্ত ও গুনগত মানের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করাই ভালো হবে।
কোনো সার্কিটে কত ভোল্টের ক্যাপাসিটর ব্যবহার করবো
ক্ষেত্র বিশেষে এমন হয় যে সার্কিট ডায়াগ্রামে ক্যাপাসিটরের মান দেয়া থাকলেও সেটির ভোল্ট উল্লেখ থাকে না। সেক্ষেত্রে সার্কিটের সাপ্লাই ভোল্টেজের মান কে স্থির ধরে নিয়ে ক্যাপাসিটরের ভোল্ট নির্ণয় করতে হয়। খেয়াল রাখতে হবে যেন ক্যাপাসিটরের ভোল্ট সাপ্লাই ভোল্ট থেকে বেশী থাকে। নয়ত সার্কিট কাজ না করবার সমূহ সম্ভবনা আছে।
নোটঃ কিছু সার্কিট আছে যা এক সাপ্লাই ভোল্টে চলেও বিভিন্ন মানের ভোল্ট উৎপন্ন করতে পারে। যেমন আইপিএস , ইনভার্টার, ভোল্টেজ বুস্টার ইত্যাদি। সেক্ষেত্রে সার্কিট বুঝে ক্যাপাসিটরের ভোল্ট নির্ণয় করতে হবে। তবে সেসকল সার্কিটের ক্ষেত্রে ক্যাপাসিটরের ভোল্ট বিশেষ ভাবে উল্লেখ থাকে।
এম্পলিফায়ারে কেমন ধরনের ক্যাপাসিটর ব্যবহার করতে হবে
পাওয়ার এম্পলিফায়ার এর প্রাণ হচ্ছে পাওয়ার সাপ্লাই। উপযুক্ত কারেন্ট ও ভোল্টেজ না পেলে এম্পলিফায়ার ভালো কাজ করে না। কম্পিউটারের অথবা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হাই ফাই এম্পলিফায়ার বাজানোর মজাই আলাদা। উপযুক্ত সাউন্ড বক্স এর মাধ্যমে তৈরী কৃত এমন ধরনের সাউন্ড সিস্টেমে অবশ্যই খুব উন্নত মানের জাপানী ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা উচিৎ। আমাদের ইলেকট্রনিক্স সাইটে এ সংক্রান্ত তথ্যবহুল লেখা পড়তে পারেন এই লিংক থেকেঃ
পাওয়ার এম্পলিফায়ার
ছোট পিএফ ক্যাপাসিটরের মান কীভাবে নির্ণয় করবো
সাধারণত পিএফ ক্যাপাসিটরের মান গুলোকে কোডের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। যেমনঃ
101 – এর অর্থ হচ্ছে, এটির মান ১০০ পিএফ
102 – এর অর্থ হচ্ছে, এটি ১০০0 পিএফ বা ১ ন্যানো ফ্যারাড মানের, এভাবে…
105 – এর অর্থ হচ্ছে, এটির মান ১০০0০০০ পিএফ বা এটি ১ মাইক্রো ফ্যারাড মানের ক্যাপাসিটর
অর্থাৎ, ৩য় ঘরে যত মান দেয়া আছে ঠিক ততো গুলো “০” কে “১০” এর পাশে বসালে পিএফ সমান মান পাওয়া যাবে। একে প্রয়োজনে ন্যানো ফ্যারাড বা মাইক্রোফ্যারাডে পরিবর্তন করে নিলেই এর ব্যবহারিক মান পাওয়া যাবে।
শুধু মান ছাড়াও ক্যাপাসিটরের কোড দিয়ে এর ভোল্টেজ, টলারেন্স প্রভৃতি নির্দেশিত থাকে।
আরো জানতে আমার এই লিখাটি পড়তে পারেন।
পরিশিষ্ঠঃ
আরো বিস্তারিত জানতে
techtunes.com.bd এ প্রকাশিত এই ক্যাপাসিটর নিয়ে ল

Registor

ভূমিকাঃ
ইলেকট্রনিক্স সার্কিটে বহুল ব্যবহৃত একটি পার্টস হল রেজিস্টর । রেজিস্টরের মত অন্য কোন ডিভাইস এত বেশী ব্যবহার হয়না। এটি বিদ্যুৎ প্রবাহে/ কারেন্ট প্রবাহে বাধা প্রদান করে। কতটুকু বাধা প্রদান করবে তা নির্ভির করে এর রেজিস্টিভিটি এর উপর। রেজিস্ট্যান্সের একক ওহম (Ohm) যাকে গ্রীক অক্ষর Ω দ্বারা প্রকাশ করা হয়। যে পরিমান রেজিস্ট্যান্সের কারণে কোন রেজিস্টরের আড়াআড়িতে ১ ভোল্ট বিভব পার্থক্যে উক্ত রেজিস্টরের মধ্য দিয়ে ১ এম্পিয়ার কারেন্ট প্রবাহিত হয় তাকে ১ ওহম বলে। কালার কোড ব্যবহার করে আমরা রেজিস্টরের মান নির্ণয় করতে পারি।
রেজিস্টর ও রেজিস্ট্যান্সঃ
এটি ইলেকট্রিক্যাল ডিভাইস বা সার্কিট ইলিমেন্ট যা এর সামর্থ্য অনুযায়ী বিদ্যূৎ প্রবাহকে বাধা দিতে পারে। এর বৈশিষ্ট্যকে রেজিস্ট্যান্স বলা হয়। অর্থাৎ রেজিস্টর হলো ডিভাইসের নাম এবং রেজিস্ট্যান্স হলো ঐ ডিভাইসের গুণ বা বৈশিষ্ট। আরো সহজভাবে বলতে গেলে, রেজিস্টর যে কাজটা করে থাকে তাকে রেজিস্ট্যান্স বলে।
প্রতীকঃ
রেজিস্টরকে প্রকাশ করার জন্য নিম্নের প্রতীকগুলি ব্যবহার করা হয়
বৈদ্যূতিক বৈশিষ্টঃ
১। রেজিস্টর একটি দুই
টার্মিনাল বিশিষ্ট ডিভাইস
২। ইহা নন–পোলার ডিভাইস
৩। ইহা লিনিয়ার ডিভাইস
৪। ইহা প্যাসিভ ডিভাইস
সাধারণত রেজিস্টর ২ প্রান্ত
বিশিষ্ট ডিভাইস।
তবে পরিবর্তনশীল মানের
রেজিস্টর সাধারণত ৩ প্রান্ত
বিশিষ্ট হয়ে থাকে। এর
কোনো পোলারিটি (ধণাত্বক
বা ঋণাত্বক প্রান্ত) নেই। আর
লিনিয়ার ডিভাইস বলতে এমন
ডিভাইস বুঝায় যার (Across)
আড়াআড়িতে প্রযুক্ত
ভোল্টেজ এবং উক্ত ভোল্টেজ
সাপেক্ষে প্রবাহিত
কারেন্টের মধ্যে সম্পর্ক
সর্বদা সরল রৈখিক হয়।
প্রকারভেদঃ
রেজিস্টর আছে অনেক প্রকারের ।যথাঃ-
1. Fixed Resistors:
1.1. Carbon Resistors :
1. Carbon Fila Resistors
2. Solid Resistors
1.2. Metal Resistors:
1. Metal Fila
2. Metal Oxide Fila
1.3. Metal Glazed Type Resistors:
1. Chip Resistors
2. Chip Network Resistors
3. Network Resistors
1.4. Other:
1. Wire Wound Resistors
2. Theraistors
3. Varistors
4. 2 . Variable Resistors:
2.1. Metal Glazed Type Resistors
1. Chip Variable Resistors
2.2. Carbon based Type Variable Resistors:
1. Carbon based Turning Type Variable Resistors
2.3. Wire Wound Type Variable Resistors
রেজিস্টরের পাওয়ার রেটিং কি?
যখন কোন রেজিস্টরের মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহ ঘটে তখন রেজিস্টরে তাপ আকারে কিছু পাওয়ার অপচয় হয় এবং রেজিস্টরটি গরম হয়। উৎপন্ন তাপমাত্রা প্রবাহিত কারেন্টের উপর নির্ভর করে। কারেন্ট বেশী হলে উৎপন্ন তাপ বেশী হয় এবং কম হলে তাপ কম হয় এমনকি বেশী তাপমাত্রার কারনে রেজিস্টরটি পুড়ে যেতে পারে। সর্বোচ্চ যে পরিমান কারেন্ট প্রবাহ করলে অথবা যে পরিমান পাওয়ার অপচয় হলে একটি রেজিস্টর পূর্ণ দক্ষতার সাথে দীর্ঘ দিন কাজ করতে পারে তাকে ঐ রেজিস্টরের পাওয়ার রেটিং বলে একে ওয়াট এককে প্রকাশ করা হয়। যেমন একটি ১ ওয়াট রেটিং এর ১০০ ওহম রেজিস্টর বলতে যা বুঝায় তা গাণিতিক ভাবে বুঝার চেষ্ট করি।
অর্থাত একটি ১ ওয়াট রেটিং এর ১০০ ওহম রেজিস্টরের মধ্য দিয়ে সর্বোচ্চ ০.১ এম্পিয়ার কারেন্ট প্রবাহ করলে তা নিরাপদ থাকবে এর বেশী কারেন্ট প্রবাহ করলে রেজিস্টরটি পুড়ে যাবে।
রেজিস্টরের মান প্রকাশ করা বা লিপিবদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। যেমন ওয়্যারউন্ড রেজিস্টরগুলিতে এর গায়ে ওহমিক মান ও পাওয়ার রেটিং লিখে প্রকাশ করা হয়। ছোট আকৃতির রেজিস্টর যেমন- কার্বন কম্পোজিশন, কার্বন ফিল্ম টাইপ, মেটাল ফিল্ম ইত্যাদিতে মান লিখার মত যথেষ্ট যায়গা থাকেনা বলে কালার কোডের মাধ্যমে মান লিপিবদ্ধ করা হয়। চীপ রেজিস্টরে বিশেষ কোডিং পদ্ধতিতে মান প্রকাশ করা হয়। কালার কোড পদ্ধতি আলোচনা করা হলো।
কালার কোড পদ্ধতিঃ
কালার কোড দ্বারা খুব সহজেই আমারা মিটার ছাড়ায় যে কোন রেজিস্টরের মান নির্ণয় করতে পারি। এখন প্রশ্ন জাগতে পারে কালার কোড কি? উত্তর হল, প্রতিটা রেজিস্টরের গায়ে বিভিন্ন প্রকার রঙ দ্বারা চিহ্নিত করা থাকে এগুলোকে কালার কোড বলে। কালার কোডের প্রতিটি প্যাচকে ব্যান্ড বলে। রেজিস্টর সাধারনত ৪(চার) ব্যান্ডের বেশি হয়ে থাকে, এছাড়াও ৫ ও ৬ ব্যান্ডের রেজিস্টরও পাওয়া যায়। এখানে সাধারনত ১২ প্রকার কালার ব্যবহার করা হয়। যেগুলো হলঃ কালো, বাদামী, লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ, নীল, বেগুনি, ধূষর, সাদা এছাড়াও টলারেন্স এর জন্য সোনালী ও রুপালী কালার ব্যবহার করা হয়। সংক্ষেপে এই কালার গুলোকে বলা হয়ঃ কা, বা, লা, ক, হ, স, নী, বে, ধূ, সা। প্রতিটি বিভিন্ন ব্যান্ডে বিভিন্ন মান রয়েছে তা নিচে একটি চার্টের মাধ্যমে দেখানো হল।
এই চার্টটা আমাদের অবশ্যই
মনে রাখতে হবে। এখন কাজে
আসা যাক। কিভাবে আমারা
রেজিস্টর মাপব? মনে করি
আমার কাছে এই রেজিস্টরটা
আছে।
এখানে প্রথম, ২য় ও ৩য়
ব্যান্ডের কালার যথাক্রমে
বাদামী, লাল এবং কমলা।
চার্ট আনুযায়ী আমারা হিসাব
করি। বাদামীর ১ম মান ‘১’
লালের ২য় মান ‘২’ এবং
কমলার দ্বিতীয় মান ‘×১০০০’।
তাহলে হিসাব নিকাশ দাঁড়ায়
১২×১০০০=১২০০০Ω = ১২KΩ[
যেহেতু ১০০০Ω = ১KΩ।]
৫ ব্যান্ড কালার কোড প্রায়
একই রকম। এখানে ১ম, ২য় ও ৩য়
মান একত্রে(পাশাপাশি)
বসবে ৪র্থ ব্যান্ডের মান
গুণিতক হিসাবে বসবে। ৫ম
ব্যান্ড রেজিস্টরের টলারেন্স
নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়। যখন
রেজিস্টর কারখানায় তৈরী
হয় তখন কারখানার যান্ত্রিক
ত্রুটি এবং রেজিস্টভ
উপাদানের মিশ্রনের
তারতম্যের কারনে ১০০ ভাগ
সঠিক মান পাওয়া যায়না বরং
প্রকৃত মান হতে কিছুটা
বিচ্যূতি ঘটে এই বিচ্যূতিকে
টলারেন্স বলে।
অনেক সময় কাংখিত মানের
রেজিস্টর বাজারে কিনতে
পাওয়া যায়না বা প্রয়োজনীয়
মানের রেজিস্টরটি
স্ট্যান্ডার্ড মানের
অন্তর্ভূক্ত থাকে না। তখন
এটিকে সমবায় করে ব্যবহার
করতে হয়। প্যারালাল অথবা
সিরিজ সমবায়ের মাধ্যমে
কাংখিত মানটি তৈরী করা
হয়। যেমন আপনার যদি ১K
ওহমের রেজিস্টর প্রয়োজন হয়
কিন্তু আপনার আছে ২K ওহমের
রেজিস্টর তাহলে দুটি ২K
ওহমের রেজিস্টর
প্যারালাল সমবায়ে ১K
ওহমের রেজিস্টর তৈরী করতে
পারেন।

ট্রানজিস্টর এর কাজ

ট্রানজিস্টর (Transistor) একটি
অর্ধপরিবাহী কৌশল যা সাধারণত
অ্যামপ্লিফায়ার এবং বৈদ্যুতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত সুইচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কম্পিউটার ,
সেলুলার ফোন এবং অন্য সকল আধুনিক ইলেকট্রনিক্সের মূল গাঠনিক উপাদান হিসেবে ট্রানজিস্টর ব্যবহার করা হয়। দ্রুত সাড়া প্রদানের ক্ষমতা এবং সঠিক সম্পূর্ণ সঠিকভাবে কার্য সাধনের ক্ষমতার কারণে এটি আধুনিক ডিজাটাল বা অ্যানালগ যন্ত্রপাতি তৈরীতে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। নির্দিষ্ট ব্যবহারগুলোর মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিক অ্যামপ্লিফায়ার, সুইচ, ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রক, সংকেত উপযোজন এবং
ওসিলেটর। আলাদা আলাদাভাবে ট্রানজিস্টর তৈরি করা যায়। আবার সমন্বিত বর্তনীর অভ্যন্তরে একটি অতি ক্ষুদ্র স্থানে কয়েক মিলিয়ন পর্যন্ত ট্রানজিস্টর সংযুক্ত করা যায়।
বিচ্ছিন্ন ট্রানজিস্টর
সাধারণ আলোচনা
ট্রানজিস্টর ইলেকট্রনিক বর্তনীর একটি সক্রিয় অংশ। এর অন্তত তিনটি সংযোগ থাকে। দুইরকমের ট্রানজিস্টর সবচেয়ে বেশি দেখা যায়: বাইপোলার এবং ফিল্ড ইফেক্ট । বাইপোলার শ্রেণীর ট্রানজিস্টরে ইলেকট্রন এবং হোল এই দুই ধরনের তড়িৎ-বাহকের অনুপ্রবেশকে কাজে লাগানো হয়। আর ফিল্ড-ইফেক্ট ট্রানজিস্টরে শুধুমাত্র ইলেকট্রন অথবা হোলকে তড়িৎবাহক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। প্রথমে বাইপোলার শ্রেণীটিই তৈরি হয়েছিল। বর্তমানে দুই ধরনের ট্রানজিস্টরেরই প্রয়োগ দেখা যায়।
ইতিহাস
ফিল্ড-ইফেক্ট ট্রানজিস্টরের মূল নীতি সম্বন্ধে প্রথম তিনটি পেটেন্ট গৃহীত হয়েছিল ১৯২৮ সালে জার্মানীতে । পেটেন্ট করেছিলেন পদার্থবিজ্ঞানী
জুলিয়াস এডগার লিলেনফেল্ড । কিন্তু তিনি এই নীতি সম্বন্ধে কোন গবেষণাপত্র প্রকাশ করেননি বিধায় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো তার এই পেটেন্ট গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করেনি।
১৯৩৪ সালে জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী ড: অস্কার হেইল ফিল্ড-ইফেক্ট ট্রানজিস্টরের আরেকটি পেটেন্ট করেন। এরকম কিছু পেটেন্ট গৃহীত হলেও তখনকার সময় এ ধরনের কৌশল তৈরি করা হয়েছিলো, এর সপক্ষে কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই। কিন্তু ১৯৯০'র দশকের এক গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে লিলেনফেল্ডের নকশাগুলোর মধ্যে একটি নকশা ঠিক এভাবে কাজ করেছিল এবং তা থেকে প্রতীক্ষীত পরিমাণ গেইন লাভ করা সম্ভব হয়েছিল। বেল ল্যাবরেটরি থেকে প্রাপ্ত আইনসম্মত পত্রাদি থেকে জানা গেছে, শকলি এবং পিয়ারসন সর্বপ্রথম এ ধরনের কৌশলের অপারেশনাল সংস্করণ তৈরি করেছিলেন। এই কাজ করতে যেয়ে তারা লিলেনফেল্ডের পেটেন্টকে ব্যবহার করেছিলেন যদিও তাদের কেউই এই পেটেন্টটিকে তথ্যসূত্র হিসেবে উল্লেখ করে যাননি। দ্য আদার ট্রানজিস্টর, আর. জি. আর্নস
১৯৪৭ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বেল ল্যাবরেটরির উইলিয়াম শকলি, জন বার্ডিন এবং ওয়াল্টার ব্রাটেইন পৃথিবীর প্রথম ব্যবহারিক পয়েন্ট-কন্টাক্ট ট্রানজিস্টর তৈরি করতে সক্ষম হন। তারা মূলত যুদ্ধকালীন সময়ে যুদ্ধে উপযোগীতার জন্য বিশুদ্ধ জার্মেনিয়াম কেলাস মিশ্রিত ডায়োড তৈরির জন্য গবেষণা করছিলেন। এই ডায়োডগুলোকে ক্ষুদ্র তরঙ্গ রাডারের গ্রাহক যন্ত্রে
ফ্রিকোয়েন্সি মিক্সার হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। একই সময়ে Purdue University তে কর্মরত একদল গবেষক ভাল মানের অর্ধপরিবাহী জার্মেনিয়াম কেলাস তৈরি করতে সক্ষম হন। এই কেলাসগুলোই বেল ল্যাব্সে ব্যবহার করা হয়েছিল। [১] এর আগে ব্যবহৃত টিউব-ভিত্তিক প্রযুক্তি দ্রুত সুইচিংয়ের কাজ করতে পারতো না বিধায় এক্ষেত্র সেগুলো ব্যবহার করা সম্ভব ছিলনা। এ কারণে বেল ল্যাব্সের গবেষকরা এর পরিবর্তে সলিড স্টেট ডায়োড ব্যবহার করেছিল। এই জ্ঞানটুকু পুঁজি করে তারা একটি ট্রায়োড তৈরীতে মনোনিবেশ করে। কিন্তু এই প্রক্রিয়া মোটেই আগের মত সহজ ছিলনা। এই কাজ করতে গিয়ে তারা যে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বৈশীষ্ট্য লক্ষ্য করেন তা ব্যাখ্যা করার জন্য বার্ডিন এক নতুন ধরনের তলীয় পদার্থবিজ্ঞানের অবতারণা করেন। এর মাধ্যমে বার্ডিন ও ব্রাটেইন একটি কর্মক্ষম কৌশল তৈরীতে সমর্থ হন।
একই সময় কিছু ইউরোপীয় বিজ্ঞানী সলিড-স্টেট অ্যামপ্লিফায়ারের ধারণা নিয়ে গবেষণা করছিলেন। ১৯৪৮ সালের আগস্টে জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী Herbert F. Mataré (১৯১২ -) এবং Heinrich Welker (১৯১২ - ১৯৮১ ) সংখ্যালঘু তড়িৎ-বাহকের অনুপ্রবেশের উপর ভিত্তি করে নির্মিত একটি অ্যামপ্লিফায়ারের উদ্ভাবন বিষয়ে পেটেন্টের আবেদন জানান। তারা এই কৌশলটির নাম দিয়েছিলেন ট্রানজিসট্রন । তারা তখন প্যারিসের Compagnie des Freins et Signaux Westinghouse নামক একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। ১৯৪৮ সালের জুনের আগে যেহেতু বেল ল্যাব্স ট্রানজিস্টর সম্পর্কীয় কোন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি সেহেতু ধারণা করা হয় ট্রানজিসট্রন স্বাধীনভাবেই নির্মিত হয়েছিল। Mataré ই প্রথম ব্যক্তি যিনি ট্রান্সকনডাকট্যান্স ক্রিয়া লক্ষ্য করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির রাডার যন্ত্রপাতির জন্য উপযুক্ত জার্মেনিয়াম ডুওডায়োড তৈরির সময় তিনি এটি লক্ষ্য করেছিলেন। ফরাসি টেলিফোন কোম্পানি এবং সামরিক বাহিনীর জন্য প্রথম বাণিজ্যিকভাবে ট্রানজিসট্রন উৎপাদিত হয়েছিল। ১৯৫৩ সালে জার্মানির ডুসেলডর্ফে চারটি ট্রানজিসট্রন দ্বারা গঠিত একটি সলিড-স্টেট বেতার গ্রাহক যন্ত্র প্রদর্শিত হয়।
ব্যাল ল্যব্স নতুন এই উদ্ভাবনের জন্য একটি উপযুক্ত নাম সন্ধান করছিল। যে নামগুলো বিবেচনায় আনা হয়েছিল সেগুলে হচ্ছে:
সেমিকন্ডাক্টর ট্রায়োড , সলিড ট্রায়োড , সার্ফেস স্টেট ট্রায়োড , ক্রিস্টাল ট্রায়োড এবং আয়োট্যাট্রন । কিন্তু জন আর. পিয়ার্স কর্তৃক প্রস্তাবিত
ট্রানজিস্টর নামটি অভ্যন্তরীন ভোটে বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে। এই নামের পক্ষে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছিল তা বেল ল্যাব্সের টেকনিক্যাল মেমোরান্ডামে উল্লেখ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছেঃ
ট্রানজিস্টর কাকে বলে ও এর প্রতীক?
ট্রাঞ্জিস্টর বহুল ব্যবহিত একটি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস। এটি তিন টার্মিনাল তিন লেয়ার এবং দুই জাংশন বিশিষ্ট সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইস যা ইনপুট সিগনালের শক্তি বৃদ্ধি করি বিভিন্ন কাজ সমাধান করে থাকে। আবার সার্কিটে সুইচের ভূমিকা নিতে পারে।
প্রতীকঃ
ট্রাঞ্জিস্টর কি দ্বারা নির্মিত?
এটি এক্টিভ সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইস যা সেমিকন্ডাক্টর দ্বারা নির্মিত। এর অভ্যন্তরে দুটি জাংশন দ্বারা গঠিত। এটি হতে পারে এন পি এন বা পি এন পি জাংশন। এর তিনটি টার্মিনাল আছে। এই বিষয়ে আমরা একটু পর বিস্তারিত জানবো।
ট্রানজিস্টর প্রকারভেদ
ট্রাঞ্জিস্টরের সঠিকভাবে শ্রেনীবিভাগ করা বেশ কঠিন কারন আধুনিক গবেষণায় বর্তমানে নতুন নতুন শ্রেনীর ট্রাঞ্জিস্টর উদ্ভাবিত হচ্ছে। এখানে ট্রাঞ্জিস্টরের আপাত শ্রেনীবিভাগ দেখানো হলো।
প্রাথমিক ভাবে ট্রাঞ্জিস্টরকে
1. পয়েন্ট কন্টাক্ট ট্রাঞ্জিস্টর
2. জাংশন ট্রাঞ্জিস্টর
সেমিকন্ডাক্টরের উপর ভিত্তি
1. সিলিকন ট্রাঞ্জিস্টর
2. জার্মেনিয়াম ট্রাঞ্জিস্টর
3. পলিক্রিস্টালিন ট্রাঞ্জিস্টর
4. মনোক্রিস্টালিন ট্রাঞ্জিস্টর
5. সিলিকন কার্বাইড ট্রাঞ্জিস্টর
গঠনের উপর ভিত্তি করে জাংশ
1. ফিল্ড ইফেক্ট ট্রাঞ্জিস্টর
2. বাইপোলার জাংশন ট্রাঞ্জিস্টর
বাইপোলার জাংশন ট্রাঞ্জিস্ট
1. জাংশন ফিল্ড ইফেক্ট ট্রাঞ্জিস্টর (FET)
2. মেটাল অক্সাইড সেমিকন্ডাক্টর ফিল্ড ইফেক্ট ট্রাঞ্জিস্টর (MOSFET)
জাংশন ফিল্ড ইফেক্ট ট্রানজি
1. এন চ্যানেল জাংশন ফিল্ড ইফেক্ট ট্রাঞ্জিস্টর
2. পি চ্যানেল জাংশন ফিল্ড ইফেক্ট ট্রাঞ্জিস্টর
মেটাল অক্সাইড সেমিকন্ডাক্টর
1. ডিপ্লেশন এনহেন্সমেইন্ট টাইপ (DE-MOSFET)
2. এনহেন্সমেন্ট টাইপ (E-MOSFET)
ডিপ্লেশন এনহেন্সমেইন্ট টাইপ (
1. এন চ্যানেল DE-MOSFET
2. পি চ্যানেল DE-MOSFET
এনহেন্সমেন্ট টাইপ (E-MOSFET)ম
1. এন চ্যানেল E-MOSFET
2. পি চ্যানলে E-MOSFET
ট্রাঞ্জিস্টর কিভাবে কাজ করে?
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে ট্রাঞ্জিস্টর মূলত এমপ্লিফাই বা সুইচিং করে থাকে। ট্রাঞ্জিস্টরে ইনপুটে অল্প পরিমানে কারেন্ট প্রবাহিত করলে আউটপুটে তা এমপ্লিফাই করে ঠিক একই সাথে সুইচিং এর মত আচারণ ও করতে পারে।
ট্রানজিস্টর ইনপুট বলতে কমন ট্রাঞ্জিস্টরের বেজ কে বোঝানো হয় এবং আউটপুট ধরা হয় কালেক্টর ও ইমিটার কে। কিন্তু মসফেটের ক্ষেত্রে ইনপুট হবে ড্রেন ও আউটপুট হবে সোর্স।
ট্রাঞ্জিস্টর সার্কিটে কি কাজ করে থাকে?
উদাহরন হিসেবে রেডিও তে ট্রানজিস্টর এমপ্লিফায় হিসেবে কাজ করে থাকে। বিদ্যুৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ অত্যন্ত ক্ষীণ শক্তির যাকে উপযুক্ত সার্কিটের মাধ্যমে ট্রাঞ্জিস্টর এমপ্লিফায় করে ও স্পিকারের মাধ্যমে আমাদের কানে সে পৌঁছায়।
এন পি এন ও পি এন পি ট্রাঞ্জিস্টরের গঠন
এন পি এন ট্রাঞ্জিস্টর (npn)
চিত্রঃ এন পি এন ট্রানজিস্টর
দুটি n-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের মাঝে একটি p-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের স্থাপন করলে p-n জাংশনের সৃষ্টি হয় এবং এন পি এন ( npn) ট্রানজিস্টর গঠিত হয়।
চিত্রে দেখতে পাচ্ছি ট্রাঞ্জিস্টরের তিনটি প্রান্ত থাকে। একই জাতীয় অঞ্চলে(N) ইমিটার এবং কালেক্টর ও বিপরীত ধর্ম অঞ্চলে(P) বেস।
তাহলে আমরা বলতে পারি যে NPN ট্রাঞ্জিস্টরের ক্ষেত্রে বেস হলো পি টাইপ অঞ্চল আর ইমিটার ও কালেক্টর হলো এন টাইপ অঞ্চল। ট্রাঞ্জিস্টরের কালেক্টর ও বেসের মধ্যবর্তী জাংশনকে কালেক্টর-বেস জাংশন এবং ইমিটার ও বেসের মধ্যবর্তী জাংশনকে ইমিটার-বেস জাংশন বলে।
পি এন পি ট্রাঞ্জিস্টর (pnp)
চিত্রঃ পি এন পি ট্রানজিস্টর
এটি মূলত npn ট্রাঞ্জিস্টরের উল্টো। দুটি p-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের মাঝে একটি n-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের স্থাপন করলে p-n জাংশনের সৃষ্টি হয় এবং এন পি এন (pnp) ট্রাঞ্জিস্টর গঠিত হয়।
চিত্রে দেখতে পাচ্ছি ট্রাঞ্জিস্টরের তিনটি প্রান্ত থাকে। একই জাতীয় অঞ্চলে(P) কালেক্টর এবং ইমিটার ও বিপরীত ধর্ম অঞ্চলে(N) বেস। তাহলে আমরা বলতে পারি যে PNP ট্রাঞ্জিস্টরের ক্ষেত্রে বেস হলো এন(N) টাইপ অঞ্চল আর ইমিটার ও কালেক্টর হলো পি (P) টাইপ অঞ্চল।
ট্রাঞ্জিস্টরের টার্মিনাল সমূহের বর্ননা
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি ট্রাঞ্জিস্টরের তিনটি টার্মিনাল থাকে। ১) বেস ২) ইমিটার ৩)কালেক্টর
বেস
বেস স্তর ইমিটার ও কালেক্টরের সাথে দুটি পি এন জাংশন তৈরি করে থাকে যথা ১) বেস-ইমিটার ২)বেস কালেক্টর।
বেস-ইমিটার জাংশনে ফরোয়ার্ড বায়াস প্রদান করে যেটি ইমিটার সার্কিটে লো-রেজিস্ট্যান্স তৈরি করে থাকে। বেস-কালেক্টর জাংশন রিভার্স বায়াস প্রদান করে থাকে যা কালেক্টর সার্কিটে হাই রেজিস্ট্যান্স প্রদান করে থাকে।
ইমিটার
ইমিটারকে সবসময় বেসের তুলনায় ফরোয়ার্ড বায়াস দেওয়া হয়। পি এন পি ও এন পি এন ট্রাঞ্জিস্টরের ক্ষেত্রে বেস-ইমিটার সর্বদা ফরোয়ার্ড বায়াস দেওয়া হয়। ট্রাঞ্জিস্টরে ইমিটার লেয়ারে উচ্চ মানের ডোপিং করা হয়ে থাকে কারন ইমিটার অংশ সর্বাপেক্ষা অধিক কারেন্ট সরবরাহ করে থাকে।
কালেক্টর
কালেক্টর ইমিটারের বিপরীত দিকে অবস্থান করে থাকে। এতে সবসময় রিভার্স বায়াস প্রদান করা হয়। এটা বেস-কালেক্টর জাংশন হতে মেজরিটি চার্জ কেরিয়ার সংগ্রহ করে সার্কিটে কারেন্ট প্রবাহ ঘটায় যেকারনে এই স্তরকে কালেক্টর বলা হয়।
কালেক্টর অংশ বেস ও ইমিটারের অধিক প্রসস্ত করা হয় এবং ইমিটারের তুলনায় হালকা ডোপিং করা হয় কারন এই স্তরে অধিক পাওয়ার অপচয় হয়ে থাকে।
এন পি এন ট্রাঞ্জিস্টরের অপারেশন
চিত্রে দুটি ভোল্টেজ সোর্স দেখানো হয়েছে ( V & V ) যা ট্রানজিস্টর বায়াস দেয়ার কাজে সংযুক্ত আছে। V হলো বেজ-ইমিটার ভোল্টেজ যা জাংশনের ফরওয়ার্ড বায়াস প্রদান করে এবং
V কালেক্টর-বেজ জাংশনে রিভার্স বায়াস প্রদান করে থাকে।
বেস-ইমিটার জাংশনটি ফরোওয়ার্ড বায়াস হওয়ার কারনে n টাইপ হতে প্রচুর ইলেকট্রন বেস-ইমিটার জাংশন অতিক্রম করে ও p টাইপ বেস অঞ্চলে ডিফিউজড হয় ফলে ইমিটার কারেন্ট I প্রবাহিত হয়।
বেস স্তরটি খুব পাতলা ডোপিং p টাইপ সেমিকন্ডাক্টর হবার কারনে এতে খুব সামান্য পরিমান মজরিটি ক্যারিয়ার হোল বিদ্যমান। এই অল্প হোল হতে কিছু হোল ইমিটার অঞ্চল থেকে বেস কারেন্ট i প্রবাহিত হয়।
বেস স্তরের হোল কিছু হোল আগত প্রচুর সংখ্যক ইলেকট্রন হতে খুবই সামান্য কিছু ইলেকট্রনের সাথে মিলিত হয় ও ইলেকট্রন হল রি-কম্বিনেশন ঘটে। এইকারনে সামান্য পরিমান বেস কারেন্ট i প্রবাহিত হয়। তাহলে বেস কারেন্ট I এর দুটি উপাদান i এবং i ।
বেস স্তরে আগত প্রচুর ইলেকট্রন বেস স্তরের জন্য মাইনোরিটি কেরিয়ার হিসেবে বিবেচিত। আমরা এটা জানি যে রেভার্স বায়াসের জন্য মাইনোরিটি কেরিয়ারের জন্য পি এন জাংশনের মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হয়।
বেস-কালেক্টর জাংশন টি রিভার্স বায়াস হওয়ায় পি টাইপ বেস হতে প্রচুর ইলেকট্রন বেস কালেক্টর জাংশন অতিক্রম করে এন টাইপ কালেক্টর অঞ্চল থেকে গৃহীত হয় এবং V সোর্সের পজিটিভ টার্মিনাল দ্বারা আকৃষ্ট হয়ে সার্কিটে I কারেন্ট প্রবাহিত করে। এ
ভাবেই মূলত এন পি এন ট্রানজিস্টর ইলেকট্রন প্রবাহ মাধ্যমে কারেন্ট প্রবাহিত হয়।
চিত্রে I I I এর কারেন্ট প্রবাহের দিক দেখানো হয়েছে যা ইলেকট্রন প্রবাহের বিপরীত দিকে। তাহলে ট্রাঞ্জিস্টরের বেস পয়েন্টে কে সি এল সূত্র প্রয়োগ করে পায়ঃ
I = I + I ট্রাঞ্জিস্টর দিয়ে সকল কারেন্ট ইমিটার টার্মিনাল দিয়ে বের হয়।
এবার একটু সহজ ভাষায় আলোচন
বেস এর মধ্যে দিয়ে পাঠানো কারেন্ট ইমিটার দিয়ে বের হবে।
ট্রাঞ্জিস্টর তখন কালেক্টর থেকে ইমিটার দিকে কারেন্ট টানতে থাকে যা কালেক্টর থেকে ইমিটারে কারেন্ট প্রবাহ ঘটে।
বেস ইমিটার I কারেন্ট মূলত কালেক্টর ইমিটার I কারেন্টকে নিয়ন্ত্রন করে থাকে।
এই কালেক্টর ইমিটার কারেন্ট, বেস ইমিটার কারেন্টের চাইতে অনেক বেশি।
বেস ইমিটার সংযোগ মূলত ডায়োডের মত কাজ করে থাকে।
বেস-ইমিটার ভোল্টেজ যখন ০.৭ ভোল্ট হয় তখনি ট্রাঞ্জিস্টর চালু হয়।
এর ফলে বেস-ইমিটার ও কালেক্টর-ইমিটার বিদ্যুৎ প্রবাহ শুরু হয়।
এটাকেই মূলত থ্রেশ হোল্ড ভোল্টেজ বলে বা টার্ন অন ভোল্টেজ বলে যে ভোল্টেজে চালু হয়।
পি এন পি অপারেশন এন পি এন এর উল্টো। আশা করছি এন পি এন বুঝতে পারলে পি এন পি অপারেশন আপনাদের বুঝতে সমস্যা হবে না।
ট্রাঞ্জিস্টরের ব্যবহার কোথায় হয়ে থাকে?
সুইচিং হিসেবেঃ সলিড স্টেট রিলের ক্ষেত্রে আমরা দেখে থাকবো।
এমপ্লিফায়ার হিসেবেঃ কারেন্ট বা ভোল্টেজ কে এমপ্লিফায়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
রেগুলেটর হিসেবঃ কারেন্ট, ভোল্টেজ, পাওয়ার ইত্যাদি রেগুলেট হিসেবে ব্যবহার করতে হয়।
বাফার হিসেবেঃ যেমনঃ ইম্পিড্যান্স ম্যাচিং করতে।
একনজরে পর্যালোচনা
একটি ট্রানজিস্টর বেস, ইমিটার এবং কালেক্টর থাকে।
বেস স্তরটি অনেক পাতলা হয়ে থাকে, ইমিটার মাঝারি এবং কালেক্টর স্তরটি সবচেয়ে বেশি প্রসস্ত হয়ে থাকে।
ইমিটারে সবচেয়ে বেশি ডোপিং করা হয় যেন সবচেয়ে বেশি মেজরিটি ক্যারিয়ার বেস স্তরে সরবরাহ করতে পারে।
ট্রানজিস্টর বেস-ইমিটার জাংশন সবসময় ফরওয়ার্ড বায়াস এবং বেস কালেক্টর জাংশন সর্বদা রিভার্স বায়াস প্রদান করে থাকে।
বেস-ইমিটার জাংশনের রেজিস্ট্যান্স বেস কালেক্টর জাংশনের তুলনায় কম হয়ে থাকে তাই বেস-ইমিটারে জাংশনে খুব অল্প পরিমানে ফরোয়ার্ড বায়াস আর বেস-কালেক্টরে উচ্চ রিভার্স বায়াস প্রয়োগ করা হয়।
নিউ
ডায়োডের লেগ সনাক্ত / এনোড-ক্যাথোড সনাক্তকরণ পদ্ধতি
ডায়োডের লেগ সনাক্ত বা এনোড – ক্যাথোড সনাক্তকরণ পদ্ধতি অনেক সহজ। যে কেও ডায়োড দেখলেই বুঝতে পারবে কোন প্রান্ত এনোড এবং কোন প্রান্ত ক্যাথোড। এজন্য নিচের চিত্র মন দিয়ে দেখলেই পারবেন।
ডায়োডের যে অংশে সাদা দাগ রয়েছে সে অংশ হচ্ছে ডায়োডের ক্যাথোড প্রান্ত আর যে অংশে সাদা দাগ নেই সে অংশ হচ্ছে ডায়োডের ক্যাথোড প্রান্ত যা চিত্রে দেখানো হয়েছে।
ডায়োড ভালো না খারাপ টেস্ট পদ্ধতিঃ
ডায়োড টেস্ট করার পদ্ধতি একদম পানির মত সহজ। একটু মন দিয়ে লক্ষ্য করলে যে কেউ এটি পারবে। ডায়োডের টেস্ট করার জন্য
ডিজিটাল বা এনালগ যে কোন মাল্টিমিটার হলেই চলবে। তবে ডিজিটাল/এনালগ মাল্টিমিটারে ডায়োড/রেজিস্ট্যান্স সিলেক্টর আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে।
বাজারে যে মাল্টিমিটার পাওয়া যায় তার বেশিরভাগ গুলোতেই
ডায়োড, রেজিস্ট্যান্স অপশন থাকে। মিটারের ওহম বা রেজিস্ট্যান্স মাপার অপশন দিয়ে ডায়োড পরিমাপ করা যাবে এই পদ্ধতিতেই । তাহলে ধাপগুলো একটু দেখে নিনঃ
প্রথমেই মাল্টিমিটারের সিলেক্টরকে ডায়োডে/রেজিস্ট্যান্সে নিয়ে নিতে হবে। বুঝার সুবিধার্থে নিচে চিত্র দেওয়া হলো।
এবার আমরা ডায়োডের ফরোয়ার্ড টেস্ট করবো অর্থাৎ ডায়োডের এনোডের সাথে মাল্টিমিটারের পজেটিভ প্রুব এবং ক্যাথোডের সাথে নেগেটিভ প্রুভ যুক্ত করতে হবে চিত্রের ন্যায়।
এখানে 0.23v রিডিং দেখাচ্ছে যার অর্থ হলো ডায়োডটি আনুমানিক 0.23 ভোল্ট ড্রপ করবে যেটা আনলোড অবস্থায় দেখতে পাচ্ছি আর এই অবস্থায় ডায়োডের মধ্য দিয়ে খুব কম পরিমানে কারেন্ট প্রবাহিত হবে(1mA/2mA)।
সিলিকন ডায়োডের ক্ষেত্রে লোড অবস্থায় ভোল্টেজ ড্রপ ০.৭ পর্যন্ত হবে এবং জার্মেনিয়ামের ক্ষেত্রে ০.৩ পর্যন্ত হবে।
ওহমমিটার দিয়ে মাপলে আনুমানিক একটা রেজিস্ট্যান্স দেখাবে যেটা খুবই কম। এটা ডায়নামিক রোধ যা সার্কিটে চালু অবস্থায় কারেন্ট প্রবাহের উপর নির্ভর করে এই রোধ কমতে থাকে। এক্ষেত্রে কারেন্ট প্রবাহ যত বাড়বে রোধ তত কমতে এটাই মূলত ডায়োডের ধর্ম।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এনালগ মাল্টিমিটারের ক্ষেত্রে উল্টো করে ধরতে হবে অর্থাৎ লাল প্রোবের জায়গায় কালো প্রোব এবং কালো প্রোবের জায়গায় লাল প্রোব ধরতে হবে।
তবে কিছু কিছু এনলাগ মাল্টিমিটার এখন ডিজিটাল মাল্টিমিটারকে অনুসরণ করে তৈরি করা হয়। সেক্ষেত্রে ম্যানুয়াল দেখে নিতে হবে কোন প্রোবটি কি।
এখন আমরা ডায়োডের রিভার্স টেস্ট করবো অর্থাৎ এর জন্য আগের প্রক্রিয়ার উল্টো করবো। এর মানে এখন লাল প্রোব ধরবো ডায়োডের সাদা(ক্যাথোডে) অংশে এবং কালা প্রোব ধরবো বিপরীত অংশে(এনোডে)।
চিত্রে মাল্টিমিটারের ডিসপ্লে তে দেখা যাচ্ছে যে ০ মান অর্থাৎ কোন পরিমান ভোল্টেজ প্রবাহিত হচ্ছে না। এটাই স্বাভাবিক যেহেতু ডায়োড শুধুমাত্র একমুখী ডিভাইস তাই এই ডায়োডটি ভালো বলে ধরে নেওয়া হয়। ওহমে মাপলে এক্ষেত্রে কোণ মান দেখাবে না।
ট্রাঞ্জিস্টরের লেগ সনাক্ত / বেজ সহজে বের করার পদ্ধতি:
আমরা যে ট্রাঞ্জিস্টর বাজার থেকে কিনে থাকি সেই ট্রাঞ্জিস্টরের মডেল নাম্বার জানা থাকলে খুব সহজে গুগোল থেকে সার্চ করে আমরা ট্রাঞ্জিস্টরটির বেজ, ইমিটার, কালেক্টর জানতে পারবো।
এই সহজ পদ্ধতির একটি সমস্যা আছে, বিভিন্ন প্রস্তুতকারক কোম্পানি প্যাকেজভেদে ট্রাঞ্জিস্টরের পিনআউট অনেক সময় ভিন্ন রকম হয়। নিচের চিত্র দেখলে বুঝতে পারবেনঃ
চিত্রে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে BC547 ট্রাঞ্জিস্টর এবং 2N2222 ট্রাঞ্জিস্টর দুটির দুই রকমের পিন আউট। আমরা যারা নতুন আজ করি তাদের ক্ষেত্রে এটি বিশাল এক দরনের সমস্যা আর যদি ভুলভাবে লাগিয়ে ফেলি তাহলে তো কাজ করবেই না।
এই ক্ষেত্রে হবিস্টদের প্রতি আমার অনুরোধ অবশ্যই মাল্টিমিটার দিয়ে ট্রাঞ্জিস্টরের লেগ বের করবার। শুধু ট্রাঞ্জিস্টরের ক্ষেত্রে নয় বরং যেসকল ইকুয়েপমেন্ট টেস্ট করা যায় সেগুলো নিয়ে কাজ করার পূর্বে অবশ্যই টেস্ট করে নিবেন।
আমরা NPN এবং PNP উভয় ক্ষেত্রে ট্রাঞ্জিস্টরের বেজ, ইমিটার, কালেক্টর নির্নয় করবো। এক্ষেত্রে কাজের সুবিধার্থে আমরা প্রথমে মাল্টিমিটার দিয়ে ট্রাঞ্জিস্টরের বেজ নির্ণয় করবো। এর পরে কালেক্টর ও ইমিটার নির্ণয় করবো। নতুনদের বুঝার সুবিধার্থে আমরা ধাপে ধাপে তা বর্ণনা করেছি।
এন পি এন ট্রাঞ্জিস্টরের ক্ষেত্রে বেজ বের করার সহজ পদ্ধতি
বেজ নির্ণয়
উপরোক্ত ডায়োডের ক্ষেত্রে যেভাবে সিলেক্টর সেট করা হয়েছিলো সেইভাবেই সেট করা থাকবে অর্থাৎ সিলেক্টর নবকে
ডায়োড /ওহমে রাখতে হবে।
এবার ট্রাঞ্জিস্টরের তিনটি প্রান্তের যেকোন এক প্রান্তকে বেজ হিসেবে ধরে অনুমান করে পরীক্ষা করি।
মাল্টিমিটারের পজিটিভ প্রোব(লাল রঙের প্রোব)যে প্রান্তকে বেজ অনুমান করা হয়েছে তার সাথে লাগিয়ে এবং নেগেটিভ প্রোব(কালো রঙের প্রোব) অন্য দুইটি প্রান্তে লাগিয়ে দেখতে হবে।
একই পরীক্ষা ট্রাঞ্জিস্টরের অপর দুটি লেগের ক্ষেত্রে করতে হবে অর্থাৎ অপর দুটি লেগ কে বেজ অনুমান করে উপরোক্ত নিয়মে লাগাতে হবে। নিচের ছবিটি লক্ষ্য করুন-
যদি উভয় লেগের ক্ষেত্রে কিছু রেজিস্ট্যান্স দেখায় তাহলে আমাদের বুঝতে হবে ঐ কমন লেগটিই ট্রাঞ্জিস্টরের বেজ । শর্ট হলে রেজিস্ট্যান্স শূন্য দেখাবে।
পি এন পি ট্রাঞ্জিস্টরের ক্ষেত্রে বেজ বের করার সহজ পদ্ধতি
বেজ নির্ণয়
আগের মতোই ট্রাঞ্জিস্টরের সিলেক্টর নবকে রেজিস্ট্যান্স/ডায়োড মাপার জন্য সেট করতে হবে।
এবার ট্রাঞ্জিস্টরের তিনটি প্রান্তের যেকোন একটিকে পিএনপি ট্রাঞ্জিস্টরের বেজ অনুমান করতে হবে এবং তা পরীক্ষা করতে হবে।
এর জন্য মাল্টিমিটারের নেগেটিভ প্রোব (কালো রঙের) যে প্রান্তকে বেজ অনুমান করা হয়েছে তার সাথে লাগিয়ে এবং পজেটিভ প্রোব(লাল রঙের প্রোব) অন্য দুইটি প্রান্তে লাগিয়ে দেখতে হবে।
একই দরনের পরীক্ষা অপর দুটি লেগের ক্ষেত্রেও করতে হবে।অর্থাৎ অপর দুটি লেগ কে বেজ অনুমান করে উপরোক্ত নিয়মে লাগাতে হবে।
যদি উভয় লেগের ক্ষেত্রে কিছু রেজিস্ট্যান্স দেখায় তাহলে আমাদের বুঝতে হবে ঐ কমন লেগটিই ট্রাঞ্জিস্টরের বেজ । শর্ট হলে রেজিস্ট্যান্স শূন্য দেখাবে।
উভয় ট্রাঞ্জিস্টরের ক্ষেত্রে কালেক্টর এবং ইমিটার নির্ণয়
বেজ নির্ণয় করতে পারলে এটি বেশ সহজ কাজ। এটিও আমরা ডিজিটাল মাল্টিমিটার দিয়ে সিলেক্টর নবকে ডায়োড/রেজিস্ট্যান্স অবস্থানে রেখে খুব সহজে বের করতে পারি।
1. বেজ থেকে উভয় লেগের রেজিস্ট্যান্স তুলনা করতে হবে মাল্টিমিটার দিয়ে।
2. যে লেগের রেজিস্ট্যান্স বেশি হবে সেটি উক্ত ট্রাঞ্জিস্টরের ইমিটার
3. অপরদিকে যে লেগের রেজিস্ট্যান্স কম দেখাবে সেটি কালেক্টর
এনালগ মাল্টিমিটার দিয়ে এটি সনাক্ত করা বেশ কঠিন এবং দুরূহ কাজ কারন এই রেজিস্ট্যান্সের মান মাত্র কয়েক ওহম হয়ে থাকে। যার ফলে এনালগ মাল্টিমিটার দিয়ে কাটার পরিবর্তন তেমন বুঝা যায় না।
এছাড়া এখনকার সব এনালগ মাল্টিমিটারে ট্রাঞ্জিস্টর পরীক্ষা করার আলাদা অপশন আছে।
আমরা যে ট্রাঞ্জিস্টরের দিয়ে পরীক্ষা করেছি সেটির ফলাফল:
আমরা ট্রাঞ্জিস্টরের একটি প্রান্তে(মাজখানের পায়ে) লাল প্রোব ধরার পর বাকি ২ পায়েই রেজিস্ট্যান্স পেয়েছি এর মানে এটি এন পি এন (NPN) টাইপ ট্রাঞ্জিস্টর এবং মাঝ খানের পা টি বেজ ।
মাজখানের বেজ থেকে বাম দিকের লেগে মাল্টিমিটার ধরে যে রিডিং পাওয়া গেছে এবং মাঝখানে বেজ থেকে ডান দিকের লেগে মাল্টিমিটারে ধরে রিডিং পাওয়া গেছে তাদের মাঝে তুলনা করতে হবে।
তাহলে আমাদের ভ্যালু অনুসারে বেজ টু বাম সাইটের লেগ=৬৪৯ এবং বেজ টু ডান সাইডের লেগ = ৬৫৫ অর্থাৎ বাম সাইডের লেগ কালেক্টর এবং ডান সাইডের লেগ ইমিটার।
ট্রাঞ্জিস্টর ভালো না খারাপ টেস্টিং পদ্ধতিঃ
মিটারের কাটাটি যদি অন্য দুইটি লিডের কোনটির ক্ষেত্রে না নড়ে তাহলে ট্রানজিস্টরটি ওপেন যেটা নষ্ট।মিটারের কাটাটি যদি সব টেস্টের ক্ষেত্রে নড়ে তাহলে ট্রানজিস্টরটি শর্ট নষ্ট।
মিটারের কাটাটি যদি কোনো একটি টেস্টের ক্ষেত্রটি হাল্কা নড়ে তাহলে ট্রানজিস্টরটি লিক নষ্ট।
ডায়োড ও ট্রানজিস্টর লেগ নির্ণয় ভিডিওঃ
ডায়োড ও ট্রানজিস্টর লেগ নির্ণয় সম্পর্কে আজকে এই পর্যন্ত। আপনাদের ডায়োড ও ট্রানজিস্টর লেগ নির্ণয় বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে কমেন্টে জিজ্ঞাস করতে পারেন।
আশা করছি আমাদের ডায়োড ও ট্রানজিস্টর লেগ নির্ণয় লেখা নতুন হবিস্টদের উপকারে আসবে তাহলে আমাদের সার্থকতা।

Saturday, February 17, 2018

Invertor

Chanchol
ইনভার্টার সার্কিটঃ
আমরা সবাই মোটামুটি ইনভার্টার সার্কিট সম্পর্কে পরিচিত। যে ইলেকট্রনিক সার্কিট ডিসি পাওয়ারকে এসি পাওয়ার এ কনভার্ট করে তাকে ইনভার্টার সার্কিট বলে।
এটি বিভিন্ন মানের, বিভিন্ন পাওয়ারের হতে পারে। আমরা এখানে 12 ভোল্ট ডিসি টু 220 ভোল্ট এসি ইনভার্টার সার্কিট নিয়ে আলোচনা করবো। এটি 35 ওয়াট পাওয়ার আউটপুট দিবে। আমরা আরো বেশি পাওয়ারের আউটপুট পেতে সার্কিটে আরো মসফেট যুক্ত করবো।
প্রয়োজনীয় কম্পোনেন্ট সমূহঃ
12V ব্যাটারি – 1 টি
মসফেট IRF 630 – 2 টি
2N2222 ট্রানজিস্টর – 2 টি
2.2uf ক্যাপাসিটর – 2টি
রেজিস্টর
680 ওহম – 2 টি
12K – 2টি
12 ভোল্ট টু 220 ভোল্ট সেন্টার টেপ স্টেপআপ ট্রান্সফরমার
You Can buy all the PARTS for this Project in low cost just click buy now button.
সার্কিট ডায়াগ্রামঃ
চিত্রঃ ইনভার্টার সার্কিট ডায়াগ্রাম
সার্কিটের বৈশিষ্ট্যঃ
1. সার্কিটে যে ইনভার্টার ইপ্লিমেন্ট করা হয়েছে তা মূলত স্কয়ার ওয়েভ ইনভার্টার। এটি পিউর সাইন ওয়েভ এসি নয়।
2. এটি মোটামুটি 35 ওয়াট পাওয়ারের লোড অপারেটিং করতে পারবে।
কার্যকারিতাঃ
সার্কিটটিকে আমরা তিনটি ব্লকে ভাগ করতে পারি –
অসিলেটর
অ্যামপ্লিফায়ার
ট্রান্সফরমার
50 Hz অসিলেটর বলতে বুঝায় যা 50 Hz ফ্রিকুয়েন্সির এসি সাপ্লাই দিবে।
আমরা সার্কিটে একটি স্টাবল মাল্টিভাইব্রেটর স্থাপন করে এটি পেতে পারি। যা আমাদেরকে 50 Hz স্কয়ার ওয়েভ এসি সরবরাহ করবে।
এই সার্কিটের R1, R2, R3, R4, C1, C2, T2 এবং T3 এর সমন্নয়ে আমরা অসিলেশন পাবো।
এখানে প্রতিটি ট্রানজিস্টরই ইনভার্টিং স্কয়ার ওয়েভ সরবরাহ করে। আর ফ্রিকুয়েন্সির মান নির্ভর করে R1, R2 এবং C1 এর মানের উপর।
মাল্টিভাইব্রেটর যে স্কয়ার ওয়েভ অসিলেশন উৎপন্ন করে তার ফ্রিকুয়েন্সির মান নির্ণয়ের সূত্র –
F= 1 / (1.38*R2*C1)
অসিলেটর হতে পাওয়া ইনভার্টিং সিগন্যালকে আমরা মসফেট T1 এবং T2 এর সাহায্যে অ্যামপ্লিফাই করবো।
এই অ্যামপ্লিফাইকৃত (বর্ধিত) সিগন্যালকে আমরা স্টেপ আপ ট্রান্সফরমারের প্রাইমারি সাইট (সেন্টার টেপ 12 ভোল্ট) এ সংযোগ করবো ডায়াগ্রাম অনুযায়ি। ব্যাস হয়ে গেল ….
কিছু নিজস্ব পরিবর্তনঃ (যদি চান)
12 ভোল্ট ব্যাটারির পরিবর্তে আপনি চাইলে 24 ভোল্ট ব্যাটারি ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে লোড 85 ওয়াট হবে। কিন্তু এই সার্কিটটি এর জন্য উপোযুক্ত নয়। ইনভার্টারের ক্যাপাসিটি বাড়াতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই মসফেটের পরিমান বাড়াতে হবে।
ব্যাস, হয়ে গেল আপনার ফায়ার এলার্ম প্রজেক্ট। আশা করি সবাই খুব সহজেই বুঝতে পেরেছেন।
আমরা খুব শিগ্রই 100 ওয়াট ইনভার্টার প্রজেক্ট তৈরি নিয়ে পোস্ট করবো। সাথেই থাকুন। চাইলে
www.electronicshub.org/simple-100w-inverter/ লিংকে ক্লিক করে জেনে নিন।
তাহলে দেরি কেন? আজই তৈরি করে ফেলুন প্রজেক্টটি।
প্রজেক্টটি তৈরি করতে যদি কোন প্রবলেম হয় বা বুঝতে না পারেন তবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। ভাল লাগলে শেয়ার করে অন্যকে পড়ার জন্য উৎসাহিত করুন। কোন পরামর্শ থাকলে মন্তব্য করুন

Monday, February 12, 2018

সত্য ঘটনা (সংগৃহীত)

জীবনে সব সময় দুটি জিনিস মেনে চলেছি। বড় হতে হলে স্বপ্ন দেখতে-জানতে হয়। অবশ্য সব স্বপ্নই বাস্তবায়িত হবে এমন নয়। যদি এর ৬০ বা ৭০ শতাংশ বাস্তবায়িত হয় তাহলেই মানুষের জীবন বদলে যায়। দ্বিতীয় হল ব্যবসা করতে মূলধন লাগে না— স্বপ্ন ও সাহস লাগে। আমিই এর বড় প্রমাণ। যখন ব্যবসা শুরু করি তখন সাহস, সততা আর পরিশ্রম করার মানসিকতা ছাড়া আর কোন মূলধন ছিল না আমার। আজ প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হতে পেরেছি কেবল স্বপ্ন দেখার অভ্যাসের কারণে।
আমার শৈশব, কৈশোর ও যৌবনের গল্প আর দশজনের মতোই সাধারণ। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান, ফলে ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল নিজে কিছু করব, বড়লোক হব। শেলটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. তৌফিক আমার কাছের বন্ধু। স্কুল, কলেজ এবং বুয়েটে একসঙ্গে পড়াশোনা করেছি। দু’জনের বন্ধুত্ব ৪৫ বছরের বেশি। বুয়েটে পড়াকালীন দুই বন্ধু মিলে রাতে আড্ডা দিতাম। সে সময়ও দু’জনের চিন্তা ছিলো কিভাবে বড়লোক হওয়া যায়। দুজনেই মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। ৫ বোনের একমাত্র ভাই আমি। বাবার সরকারি চাকরি। সব ভাইবোনের পড়াশোনার খরচ জোগানো তার পক্ষে কষ্টকর হয়ে যেত। ফলে টাকা পয়সা নিয়ে টানাপোড়েন লেগেই থাকত সংসারে।
এমন পরিবারের ছেলেদের বড়লোক বা বিত্তবান হবার স্বপ্ন সব সময় থাকে। আমার বোধহয় তা একটু বেশিই ছিল। বুয়েট থেকে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বেরোলাম। পাশ করার পর সরকারি চাকরিতে এসিট্যান্ট ইঞ্চিনিয়ারের বেতন ছিলো ১১‘শ ৫০ টাকা। সে সময় ভাবতাম, মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করতে পারলেও আর কিছু চিন্তা করবো না; আরামের জীবনটা কাটাব।
ঢাকাতে পৈত্রিক বাড়ি ছিলো আমাদের দুই বন্ধুরই। একে সৌভাগ্য বলতে পারেন। সেটি আহামরি কিছু না, কিন্তু মাথাগোজার জন্য অন্যের দারস্থ হতে হয়নি কখনো। মগবাজারে সে বাড়িটা এখনো আছে। তবে ওখানে চ্যারিটি হাসপাতাল চালাই এখন।
বুয়েট থেকে বের হওয়ার পর চাকরি নিলাম, বিয়ে করলাম। যখন বিয়ে করি তখন জনতা ব্যাংকের ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি করতাম। অবশ্য পাশ করার এক বছরের মধ্যেই সরকারি চাকরিতে ঢুকেছিলাম ৭টি ইনক্রিমেন্ট নিয়ে। বিয়ের আগেই আমার বাবা মারা যান। বড় ৫ বোনের কাছে কৃতজ্ঞ। তারা বউয়ের গয়নার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। আমি কেবল এনগেজমেন্ট রিংটি কিনেছিলাম। বউভাত করতে গিয়ে আটকে গেলাম। বউভাত করার পয়সা নাই। টাকা জোগাড় করতে পারি না। আবার বউভাত তো করতেই হবে। আমার এক বোনের স্বামী ডাক্তার। তারা সে সময় ইরানে। দেশে কিছু কিছু টাকা পাঠাতেন। ওই টাকার নমিনি আমি। বহু কষ্টে ইরানে বোনের সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। তার স্বামীর কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা ধার নিলাম বৌভাত করার জন্য। বললাম ধীরে ধীরে শোধ দেবো।
চাকরি পাওয়ার ঘটনাও মজার। ইন্টারভিউ দিয়ে এসে নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। হঠাত্ একদিন আমার ঠিকানায় ৭টি ইনক্রিমেন্ট সহ নিয়োগ পত্র এসে হাজির। বাবা জানতে চাইলেন ব্যাংকে জয়েন করবো কিনা? বাবাকে জানালাম, করব; কারণ ব্যবসা করতে চাই। ব্যাংকের চাকরির সুবাদে ব্যাংকারদের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ ঘটবে অন্তত। বিশ্বব্যাংকের প্রকল্পে এ কাজটা খুব খারাপ হবে না। তাছাড়া ভালো না লাগলে ছেড়ে দিব। বাবার সম্মতিতে ১৯৮০ সালের এপ্রিলে জনতা ব্যাংকে যোগ দেই।
কাজ শুরুর পর ভালই লাগছিলো। নতুন নতুন মেশিন চিনছি। ব্যাংকারদের সাথে পরিচয় হচ্ছে । ব্যাংকের আইনকানুন জানছি-শিখছি। কাজ করতে গিয়ে দেখলাম অন্যরা যা জানে তার থেকে খুব কম জানি না। বুয়েটে হিসাববিজ্ঞানের একটা কোর্স ছিল। কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না। পরে অবশ্য এর উপর ভিত্তি করেই বিআইবিএম থেকে একটা কোর্সও সম্পন্ন করেছিলাম।
সব মিলিয়ে ভালই কাটছিলো। চাকরির কারণে সারাদেশে ট্যুর করতে হতো। বেতন আর ট্যুর অ্যালাউন্স মিলিয়ে মাসে সত্ভাবেই প্রায় ৫ হাজার টাকা রোজগার হত। ঘুষ নেয়ার সুযোগ ছিল, কিন্তু কোনদিন নেইনি। আজকের অনেক বড় ব্যবসায়ীদের সে সময় প্রজেক্ট দিয়েছি আমি। দারুণ সময় পার করছি তখন। নানা ব্যবসার প্রজেক্ট দিচ্ছি। একবার অফিসের বসের এক আত্নীয়ের জন্য চাকরির তদবির নিয়ে গেলাম জনতা ব্যাংকের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে। কথা প্রসঙ্গে উনি বললেন, মানুষকে আর কতো প্রজেক্ট দিবেন। তার চেয়ে বরং নিজে একটা প্রজেক্ট করেন। তাকে আমি মজা করে বললাম ‘রাজমিস্ত্রি বাড়ি বানায়, বাড়িতে থাকে না।’
আমি প্রজেক্ট দিই মানুষকে। নতুন নতুন ব্যবসার প্রকল্প নিয়ে যারা আসে ওই প্রকল্পে তাদের অর্থায়নের ব্যবস্থা করি। অথচ নিজে প্রজেক্ট করার মতো একটি টাকাও আমার নেই। নির্বাহী প্রকৌশলী সাহেবকে এটা জানালাম। বউভাত বাবদ ৮০ হাজার টাকার ঋণ শোধ করতে পারছি না, তাও বললাম। ভদ্রলোক জানতে চাইলেন প্রজেক্ট করতে কতো টাকা লাগে। তাকে জানালাম ব্যাংক ঋণ পেতে হলে ৩০ শতাংশ ইক্যুয়িটি নিজের থাকতে হয়। নির্বাহী প্রকৌশলী সাহেব আমাকে ৩ লাখ টাকা দিতে চাইলেন আর বাকী ৭ লাখ ব্যাংক থেকে নিতে বললেন। অর্থাত্ ১০ লাখে ব্যবসা শুরুর প্রস্তাব দিলেন তিনি। চোখে তখন বিরাট স্বপ্ন আমার। তাকে জানালাম, ৩০ লাখের কমে প্রজেক্ট হবে না। জানতে চাইলেন, কি করতে চাই। আমি বললাম সবাই গার্মেন্টস করছে, এটি করা যেতে পারে। তার মানে— ব্যাংক ঋণ পেতে হলে ইক্যুয়িটি লাগবে ১০ লাখ টাকা! ইক্যুয়িটির নগদ ৫ লাখ টাকা দিতে রাজি হলেন তিনি। বাকী ৫ লাখ টাকার জন্য আরেকজন পার্টনার যোগাড় করার পরামর্শ দিলেন। তখন নিজের ঝুঁকির কথা বলালাম। তাকে বললাম, চাকরি ছেড়ে প্রজেক্ট শুরু করছি কিছুদিনপর আপনি যদি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন, তাহলে কি হবে? আমার ব্যাংক একাউন্টে ৫ লাখ টাকা অগ্রিম জমা দেন। তাহলে বুঝবো আপনি সিরিয়াস। পাশাপাশি সংসার চালানোর জন্য মাসে মাসে ৫ হাজার টাকা করে দিতে হবে। শর্ত মেনে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে বললেন তিনি। ন্যাশনাল ব্যাংকে গিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে ফেললাম। পরের দিনই আমার অ্যাকাউন্টে ৩ লাখ টাকা জমা দিলেন তিনি। এর পর আরো কিছু টাকা দেন। সব মিলিয়ে লাখ চারেক মতো।
মনে মনে একজন পার্টনারের খোঁজ করছি। আমি তখন মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের একজন অফিসিয়াল। বাফুফের বর্তমান সহসভাপতি বাদল রায় তখন দলটির খেলোয়োড়। ব্যবসা করলে সাথে নেয়ার কথা সে বলেছিল আমাকে। বাদলের সাথে কথা বলতে মোহামেডান অফিসে গেলাম। পথে সালাম মুর্শেদীর সাথে দেখা। সে জানতে চাইলো, কোথায় যাচ্ছি। বললাম, বাদলের সাথে দেখা করতে। ও জানাল সে তো নেই। আমি ফেরত যেতে রওয়ানা হচ্ছি। তখন জানতে চাইলো বিষয়টি, তাকে বলা যাবে কিনা। আমি বললাম, তেমন কিছু না। বাদল ব্যবসায় বিনিয়োগের কথা বলেছিল, তাই আলাপ করতে এলাম। সালাম মুর্শেদী বলল,‘আমাকে নিয়ে নেন’। বললাম তাহলে নির্বাহী প্রকৌশলী সাহেবের কাছে যেতে হবে মোতাকে। কারণ, তিনিই প্রথম উদ্যোক্তা। সালামকে নিয়ে তার কাছে তিনি এলাম। আলাপ-আলোচনার পর রাজি হলেন নিয়ে। ব্যাংকে টাকা জমা দিতে বললেন। সালামের একটা এফডিআর ছিল ৪ লাখ টাকার মতো। এফডিআর ভেঙ্গে আমার একাউন্টে জমা করে দেয় সে। প্রজেক্ট করব জানিয়ে ব্যাংকের চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে নেই। তখনকার ডিজিএম মোশারফ হোসেন (মিউটুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সাবেক এমডি) প্রমোশন দেয়ার কথা বললেন, বেতন বাড়ানোর কথা বললেন। কিন্তু আমার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বললাম, এখন আর সম্ভব না। পার্টনাররা আমাকে টাকা দিয়ে দিয়েছে। এখান থেকে ফিরে আসা সম্ভব না। যা হয় দেখি।
পার্টনাররা তাদের কথা অনুযায়ী ১০ লাখ টাকা দিলেন আমাকে। ব্যাংকে গেলাম ঋণপত্র (এলসি) খোলার জন্য। বাড়ি বন্ধক রাখার কথা বলল তারা। আমাদের বাড়িটা বন্ধক রেখে ঋণ নিলাম, এলসি খুললাম। তারপর শুরু করলাম অনেক আকাঙ্খার প্রজেক্ট। বায়ার কারা জানি না, কোথা থেকে অর্ডার পাবো জানি না। কিভাবে গার্মেন্টস চালায় তাও জানি না। কোন অভিজ্ঞতাই নাই। শুধু নিজের ওপরে সাহস ছিল। সাহসের উপর ভর করে প্রথমে একটা সাব— কন্ট্রাক্ট নিলাম। কাজটা শেষ হওয়ার পর মুম্বাই থেকে এক ভদ্রলোক এলেন আমার সাথে কথা বলতে। বিদেশী দেখে আমার ভাড়া করা এসিটা ছেড়ে দিলাম তাকে। এসির শব্দে তিনি বললেন, বুঝতে পেরেছি তোমার ঘরে এসি আছে। এখন এটা বন্ধ করে দাও, বেশ শব্দ করছে। বললাম, আমি এসি ছাড়াই অভ্যস্ত, তোমাদের মতো বিদেশিদের জন্য রেখেছি। বাকি সময় বন্ধই থাকে এটি। আমার সহজ সরল কথায় মুগ্ধ হলো সে। ফ্যাক্টরি ভিজিট করতে চাইলে আমি তাকে নিয়ে যাই। সেটি আয়তনে ছোট ছিল তবে উত্পাদন দক্ষতা ছিল অন্যদের থেকে বেশী। সে প্রথম ট্রায়াল হিসেবে ৬ হাজার পিস ম্যাংগো পায়জামার অর্ডার দেয়। ব্যবসায় নতুন হিসেবে ১০ দিনের মধ্যে সরবরাহ করার সুযোগ দেয়া হলো আমাকে। অনভিজ্ঞতার জন্য আনুসাঙ্গিক কাজ শেষ করতে ৫ দিন পার হয়ে যায়। তারপর রাতদিন ২৪ ঘন্টা কাজ করে সে অর্ডার যথাসময়ে শিপমেন্ট করি।
ব্যাংক থেকে বিল পাওয়ার পরভারতীয় ভদ্রলোক আকবার লাখখানীর টাকা পরিশোধ করতে হোটেলে গেলাম। কাজ দেয়ার সময়ই কমিশন নেয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। আমাকে দেখে বিরক্তই হলেন তিনি। পরে টাকা নিয়ে আসার কথা শুনে খুব অবাক হলেন। নিজ থেকে কমিশনের টাকা পরিশোধ করতে কেউ তার কাছে আসেনি এর আগে। খুশী হয়ে আমাকে ছেলে হিসেবে স্বীকৃতি দেন ভদ্রলোক। আমি তার আস্থা অর্জন করতে পেরেছিলাম। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। মাত্র ১১ মাসের মাথায় আমি পার্টনার এবং ব্যাংকের সব ঋণ শোধ করে দেই।
ভদ্রলোক আমাকে এত অর্ডার দিতে থাকেন যে, ১৪ টা ফ্যাক্টরিতে আমার সাব কন্ট্রাক্ট চলে তখন। তাকে বলেছিলাম এসব তদারকি করার মতো লোক নেই। সে নিজেই বেশীরভাগ ফ্যাক্টরি সে নিজেই মনিটর করত। আমাকে ধনী বানাতে চায় বলেই সেসব অর্ডার আমাকে দিয়েছিলেন তিনি। ৮৪ সালে ব্যবসা শুরুর পর ৮৬-তে এসেই আমার ব্যাংকে জমা হয় ১ কোটি টাকা। নগদ টাকা দিয়ে গামের্ন্টস কেনা শুরু করি তখন। যাদুর মতো কাজ করছিল সব কিছু। এর মধ্যে দুই নম্বর কাজ করার জন্যও অনেকে বলেছে। কিন্তু কোনদিন সেসব দিকে যাইনি। জীবনে হারাম কিছু করব না, এটা সবসময় ধর্মের মতো করে পালন করে আসছি।
জীবনে তিনবার নির্বাচন করেছি, তিনবারই জিতেছি। বিজিএমইএ’র প্রেসিডেন্ট হিসেবে এক সময় প্রায় প্রতিদিনই সংবাদে এসেছি। দেশে খেলাধুলার ইতিহাসের বড় ইভেন্ট সাউথ এশিয়ান গেমস আমার হাত ধরে হয়েছে। সে বছর সব থেকে বেশী পুরস্কার অর্জনের কৃতিত্বও অর্জন করে বাংলাদেশ। ক্রীড়াক্ষেত্রে অবদানের জন্য সরকারের কাছ থেকে জাতীয় ক্রীড়া পুরষ্কার অর্জন করেছি। এখন আর এসব করে আনন্দ পাই না। পরিবারের সঙ্গে সময় দেয়াতেই বেশী আনন্দ পাই। ব্যবসা করতে গিয়ে দীর্ঘসময় ব্যয় করেছি, পরিবারকে সময় দিতে পারিনি। আমার স্ত্রী একদিন বলল, আমি যখন ব্যাংকে কাজ করতাম সেসময় তাকে নিয়ে রিকশায় চড়ে ঘুরতাম, বাদাম কিনে খেতাম। ওই সময়টাই তার জন্য আনন্দের ছিল। এখন আমাদের গাড়ী-বাড়ি হয়েছে কিন্তু সেসময়ের সুখ আর সে পায় না। এ কথাটা আমাকে খুব নাড়া দেয়। এ কারণে আমি আর কোথাও সেভাবে যাই না। তাকে সময় দেওয়ার জন্য প্রায় কোন অনুষ্ঠানেই যাই না। ব্যবসার বাইরে পুরো সময় এখন পরিবারকেই দিচ্ছি।
বেসরকারি খাতে আমার ব্যবসা অনেক দিকে বিস্তৃত। আকারে অনেক বড় না হতে পারে তবে নানা প্রকারের ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছি। গার্মেন্টস দিয়ে শুরু করলেও পরে আইটি ফার্ম, টেক্সটাইল ফার্ম, ট্রেড ফরওয়ার্ডিং, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, রিয়েল এস্টেট, ট্রেডিং, কার্গো, বেঙ্গল মিটসহ বহুমূখী খাতে আমার বিনিয়োগ রয়েছে। গত বছর প্রথমবারের মতো আবেদন করেই টেক্সটাইলে রফতানি ট্রফি (স্বর্ণপদক) পেয়েছি। গার্মেন্টেসে দ্বিতীয় সেরার মর্যাদা পেয়েছি। এরপরও নতুন ব্যবস্য শুরু করতে একধরনের আনন্দ হয়। নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে ভালো লাগে। লোকসানি ব্যবসা সফল করতে আরো বেশী জেদ চাপে। যে ব্যবসাই করি না কেন, সুনামের সাথে করেছি। নৈতিকতা ধরে রেখেই করেছি।
গত ছয় মাসে ব্যবসায়িক কাজে পাঁচ বার চীন। এ মন্দার মধ্যেও যেসব ইন্ড্রাস্ট্রিতে গিয়েছি সেখানে দেখি ২৪ ঘন্টা কাজ হচ্ছে। এসব পণ্য নিজেদের ব্যবহারের জন্য বানাচ্ছে তারা। চীনের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ইউরোপ— আমেরিকার পুরো বাজারের চেয়ে বেশী। ১২০ কোটি জনসংখ্যার দেশে নিজেদের চাহিদা মেটাতেই হিমশিম খাচ্ছে। তাদের বাজারে ডেনিমের বেশ চাহিদা আছে। একারণে চীনে আমাদের গার্মেন্টস পণ্যের বড় বাজার আছে। চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এখন গার্মেন্টস ব্যবসা তার তাদের জন্য লাভজনক নয়। এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি গার্মেন্টস দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তীতে তারাও এটিকে লাভজনক হিসেবে ধরে রাখতে পারেনি। যেমন কোরিয়া, জাপান, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড। এসব দেশের রফতানি বাণিজ্য গার্মেন্টস ব্যবসা দিয়ে হলেও পরে তারা ব্যবসা অন্য খাতে প্রবাহিত করেছে। তবে তাদের স্থানীয় বাজারে গার্মেন্টস পণ্যর চাহিদা আছে। এ বাজার আগামীতে বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, মিয়ানমারের গার্মেন্টস পণ্য নিয়ন্ত্রণ করবে। এরা কেউ বাংলাদেশের জন্য হুমকি হতে পারবে না। নিজস্ব তুলা, সুতা থাকার পরও ভারত আমাদের গার্মেন্টস ব্যবসার জন্য হুমকি হতে পারেনি।
গার্মেন্টস পণ্যর চাহিদা অনেকটা পিরামিডের মতো। যত নিচে ততো বেশী পরিমান পোশাকের চাহিদা তৈরী হয়। কারণে বাংলাদেশের গার্মেন্টস ফ্লারিশ করছে। আমি মনে করি বাংলাদেশের পরিচিতি গার্মেন্টস এবং টেক্সটাইল দিয়েই হবে। নিজেদের তুলার তেমন উত্পাদন নেই আমাদের। তবে আমাদের শ্রমিকদের দক্ষতার কারণে এসব সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি আমরা। এখানকার শ্রমিকরা নিয়ম মেনে সময়মতো কাজ করে চলেছে, এজন্য তারা ধন্যবাদ পাবেন। আমাদের শ্রমিকরা কাজের প্রতি নিবেদিত, বিশেষ করে নারীরা। দারিদ্র্য আছে বলেই তারা ঘন্টার পর ঘন্টা এক জায়গায় বসে কাজ করে। সব গার্মেন্টসে কাজের পরিবেশ এক রকম না। তারপরও আমাদের শ্রমিকরা শ্রম দিতে কার্পণ্য করেন না।
মজার ঘটনা বলি। রাশিয়ার এক গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি বিপণনের দায়িত্ব নেয়ার শর্তে আমাকে ৫০ শতাংশ শেয়ার দিতে চেয়েছিল। আমি লাভজনক বিবেচনা করে ওদের কারখানা দেখতে গেলাম। গিয়ে দেখলাম, ৫টা বাজলেই সবাই কাজ ছেড়ে উঠে পড়ে। ওভারটাইম করতে রাজি হয় না কেউ। এতে ঠিকসময়ে তারা শিপমেন্ট দিতে পারে না। তাদের শ্রমিকদের এ মানসিকতা দেখে বললাম, তোমাদের জন্যই গার্মেন্টস ব্যবসা লাভজনক হবে না। একই অবস্থা ভারতের ক্ষেত্রেও। ট্রেড ইউনিয়েন গঠনের ভয়ে এক কারখানায় ৫০ জনের কম শ্রমিক নিয়োগ দেয় তারা। এতে একটি ফ্যাক্টরির কয়েকটি আলাদা ইউনিট করতে হয়। কাজ ভাগ করে নানা জায়গা থেকে করাতে হয়, যা সময়সাপেক্ষ। এজন্য ভারতের সব থাকা সত্ত্বেও তারা গার্মেন্টসে ভাল করতে পারছে না। অন্যদিকে এ খাতে পেশাদারিত্ব দাঁড়িয়ে গেছে আমাদের। পোশাক শিল্পের ইতিহাসে যে সাফল্যর গল্প, তা আমাদের শ্রমিকদের কৃতিত্ব। উদ্যেক্তাদেরও কৃতিত্ব আছে কিন্তু এসব শ্রমিক যদি পেশাদারিত্ব নিয়ে কাজ না করতেন, তা হলে এসব সাফল্য জমত না।
দেশের বেসরকারিখাত বিস্তৃত হচ্ছে। নতুন প্রজন্ম দায়িত্ব নিচ্ছে। দ্বিতীয় প্রজন্মের ব্যবসায়ীদের বেশীর ভাগই পরিবার নিয়ন্ত্রিত। প্রথম এবং দ্বিতীয় প্রজন্মের ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটি পার্থক্য আছে। প্রথম প্রজন্মের সব ব্যবসায়ী সন্দেহতীতভাবে উদ্যোক্তা শ্রেণীর। কিন্তু দ্বিতীয় প্রজন্মের ব্যবসায়ীদের বেশীর ভাগই ব্যবসায়ী। অবশ্য তাদের একটা প্লাস পয়েন্ট আছে। ব্যবসায় নামার জন্য তারা প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে। তাদের এ বিষয়ে শিক্ষা আছে। তারা তাদের বাবাকে ব্যবসা করতে দেখে, সে পরিবেশের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠেছে । প্রথম প্রজন্মের ব্যবসায়ীরা এ সুযোগ পায় নি। দ্বিতীয় প্রজন্ম চাইলে উদ্যোক্তাও হতে পারবে। তাদের জন্য সে সুযোগ অবশ্যই আছে। তবে সবাই যে ভাল করছে এমনটাও না। অনেকে ঠিক ভাবে করতে পারছে না বলে দ্বিতীয় প্রজন্মে এসে ব্যবসা বিক্রি করে দিচ্ছে। আবার অনেকে খুবই ভাল করছে।
আমার ছেলে যখন ব্যবসায় নামে আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তুই ব্যবসায়ী হবি না উদ্যোক্তা হবি। সে নতুন চালেঞ্জ নিতে চায় বলে আমাকে জানায়। তাকে প্লাটিনাম সুইটস লাভজনক করার দায়িত্ব দিলাম। এ ধরনের ব্যবসা করার অভিজ্ঞতা আমার ছিল না। সে এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে সফল হয়েছে। প্লাটিনাম সুইটস এখন লাভজনক ব্যবসা। পাশাপাশি রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা দেখছে। বেশ ভালই করছে সে।
সবমিলে বেসরকারি খাতের ভবিষ্যত্ নিয়ে আমি ভীষন আশাবাদী। বাংলাদেশ একমাত্র দেশ, যেখানে নতুন ধরনের ব্যবসা করার সুযোগ আছে। একথা বিদেশীরাও বলেন। এসব খাতে ব্যবসা করে পয়সা কামানো সবচেয়ে সহজ। পাশাপাশি বেশ কিছু বাধা আছে। তবে যেসব বিদেশীরা এখানে ব্যবসা শুরু করেছেন, তারা এটাকে লাভজনক বলেই মনে করছেন। লাভজনক না হলে অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতেন। সার্ভিস সেক্টরে অনেক কিছু করার সুযোগ আছে। প্রতিযোগিতা বাড়লেও অনেক না ছোঁয়া ব্যবসা এখনো আছে দেশে। পর্যটন খাতের পুরোটাই খালি। ভাল চেইন ডিপার্টমেন্টাল স্টোর নাই। ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায় বড় সুযোগ আছে। নতুন উদ্যোক্তারা এসব সুযোগ কাজে লাগাতে পারে। এখান থেকে অনেকে উদ্যোক্তা হিসেবে বেরিয়ে আসতে পারে। প্রতিবন্ধকতা সব সময়ই থাকবে। কিন্তু সাহস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। লেগে থাকার প্রবণতা থাকলে উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হওয়া সম্ভব। নতুন নতুন আইডয়া নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে হবে। ব্যবসার অনেক সুযোগ আছে। সেসব কাজে লাগাতে হবে। ইচ্ছা থাকলে ছোট দিয়ে শুরু করে বড় হওয়া যায়। চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে যেতে পারলে বড় হওয়া কোন বিষয় নয়।
লেখক: এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান

ইলেকট্রনিক্স


ট্রানজিস্টর কিভাবে কাজ করেঃ
ট্রানজিস্টর ইলেকট্রনিক সার্কিট বা বর্তনীতে বিবর্ধক(amplifier) ও সুইচ হিসেবে ব্যবহহৃত হয়।
দুই শ্রেনীর অর্ধপরিবাহী (N-টাইপ ও P-টাইপ) দিয়ে ট্রানজিস্টর তৈরি করা হয়। এতে একটি P-টাইপ সাবস্টাক্টের উভয় পার্শ্বে একটি করে N-টাইপ স্থাপন করে N-P-N বা N-টাইপ সাবস্টাক্টের উভয় দিকে একটি করে P-টাইপ স্থাপন করে P-N-P জংশন তৈরি করা হয়।
ট্রানজিস্টর বানানোর পদ্ধতিকে বলা হয় 'ফেব্রিকেশন' (Fabrication)
এখানে শুধু NPN ট্রানজিস্টর নিয়ে আলোচনা করব। NPN ট্রানজিস্টরের ৩টি টার্মিনাল থাকে –
১. কালেক্টর (Collector)
২. বেস (Base) এবং
৩. ইমিটার (Emitter)
Base এর মধ্য দিয়ে পাঠানো কারেন্ট Emitter দিয়ে নির্গত হয়। ট্রানজিস্টর তখন Collector থেকে Emitter এর দিকে কারেন্ট টানতে থাকে। অর্থাৎ কালেক্টর থেকে ইমিটারের মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হয়। বেস-ইমিটার কারেন্ট(Ib) আসলে কালেক্টর-ইমিটার কারেন্টকে (Ic) নিয়ন্ত্রণ করে।
অনেকটা পানির কল ছাড়ার মত- ট্যাপ না ঘুরালে যেমন পানি বের হয়না, তেমনি বেসের মধ্য দিয়ে কারেন্ট না পাঠালে কালেক্টর থেকে এমিটারের দিকে কারেন্ট প্রবাহিত হয় না।
কিন্তু মজার ব্যাপার হল এই কালেক্টর-ইমিটার কারেন্ট, বেস-ইমিটার কারেন্টের চাইতে অনেক বেশি। ট্রানজিস্টরের মডেলভেদে কালেক্টর-ইমিটার কারেন্ট(IC), বেস-ইমিটার কারেন্টের(IB) চাইতে ৫০-৪০০গুণ বড় হতে পারে। এর মানে হচ্ছে আপনি Base-এ মাইক্রো- অ্যাম্পিয়ার কারেন্ট দিয়ে কালেক্টর থেকে মিলি-অ্যাম্পিয়
ার কারেন্ট পেতে পারেন। পাওয়ার ট্রানজিস্টর গুলোর বেলায় কালেক্টর কারেন্ট অ্যাম্পিয়ার রেঞ্জেও হতে পারে।
এখানে অবশ্য ভোল্টেজের একটা ব্যাপার আছে , Base-Emitter সংযোগ আসলে একটা ডায়োডের মত কাজ করে। Base-Emitter-এর ভোল্টেজের পার্থক্য যখন +০.৭ভোল্ট হয় কেবল তখনই ট্রানজিস্টর চালু হয় অর্থাৎ বেস-ইমিটার এবং কালেক্টর-ইমিটার বিদ্যুৎ প্রবাহ শুরু হয়। এটাকে বলা হয় Threshold Voltage বা Turn on voltage.

Thursday, February 1, 2018

BD Train

Weekend Course
 Date : 02 - 03 February 2018
 Duration : Day(9.30 AM-5.30 PM)
 No. of Classes/ Sessions : 2 Days Long
 Last Date of Registration : 2 February, 2018
 Venue : Bdjobs Training, BDBL Building (Level 19), 12 Kawran Bazar C/A, Dhaka 1215. Export Import, Indenting, C&F Agent, e-Tendering & Buying House Business Functional Activities
View More  Related Courses PRICE: TK. 6,000+VAT
(15% VAT is applicable in every purchase.)
Register
 Add to Wishlist
CONTACT
 9140345, 9117179 , 01811410862, 01926673095, 01811 487981
 workshop@bdjobs.com
Introduction
Why this course
The main objective of the training program is to provide the practical knowledge to highlight the Export Import, Indenting, C&F Agent, Tender & Buying House Business in Bangladesh. Bangladesh is a developing country and main business here are exporting, importing to serve the sectors and industries including Garments, Jute and Jute goods, Frozen foods,Pharmaceuticals, Leather, Ceramics, Plastics, Steel, Shipbuilding and many others.
All the industries and sectors depend on their raw materials from overseas countries that come through importing from all over the world. Besides, after producing the finished goods, we are also exporting to other countries of the world and earning foreign currencies. Exporters, Importers, Indenting houses, C&F agents, Buying Houses are doing these businesses effectively.
Besides,Government and private organizations namely DGDP, BCIC, BSFIC, BAPEX, TCB, CMSD, WASA, BJMC, DCC,CCC, BIWTA, GAS FIELDS CO., PDB, REB,CPA,MOF, BPC are purchasing their items through International & Local Tenders.
Moreover, Buying Housees are playing a potential role to serve as one stop service on behalf of the foreign buyers.
So, there is a huge scope and possibility to doExport Import,Indenting, C&F Agent,Tender & Buying House Business to earn foreign currency from all over the world.
Methodology
Exercise, PowerPoint Presentation, Question and answer session.
Contents of Training:
1. Potential Importable & Exportable items of Bangladesh
2. Documents required for Import & Export License
3. Expenses for Import- Export License
4. Find out the costing of Import & Export items
5. Major Country –wise Import & Export
6. Major products –wise Import & Export
7. Market survey for Importers & Exporters
8. Import facility by bank
9. Export Cash Incentive
10. Documents required for customs clearance
11. Sources of Import- export documents
12. Required documents for Export Payment negotiation
13. EXP & IMP Form
14. TIN Certificate
15. Import Registration Certificate (IRC)
16. Export Registration Certificate (ERC)
17. UP & UD
18. GSP Certificate
19. Bond License
20. Certificate of Origin (CO)
21. Certificate of Analysis (COA)
22. Bill of Exchange
23. Bill of Entry
24. Bill of Export
25. Shipping Bill
26. How to find out suppliers/Exporters/Importers
27. Required documents to opening the L/C
28. Shipping Documents
29. Required documents to clear & forward the Import- Export goods from the Customs Authority/ C& F Agent
30. How does Letter of Credit( L/C) Process work
31. UPAS L/C
32. Shipping Documents,Opening Bank, Advising Bank, Negotiating Bank, Add Confirming Bank, Reimbursement Bank,Duty draw back, Tax holiday,Credit report, Debit note, Bill of Exchange (B/E), Bill of Lading( B/L), Master L/C, Back to Back L/C, Transhipment. Part shipment, Etc.
33. Sellers- Buyers Sourcing Procedures
34. Negotiation With Buyers & Sellers
35. H.S Code and its Importance
36. INCOTERMS (FOB, CFR, CIF,--------------- etc.)
37. SWIFT. SRO, UD, UP, GSP, DEDO, LIM, AWB, LTR, LCA,RFI,PSI,EPB, AGM, EGM,CD, RD, SD, ATV, AIT, UCP, ASYCUDA, COO, FDD, LCL, FCL. ETA, ETD, Etc.
38. What is Indenting Business
39. Potential items/sectors/industries to do indenting business in Bangladesh
40. How to Prepare /Pro forma Invoice/Sales Contract/ Indent
41. Required documents an Indenting House/Business
42. Indenting Registration Certificate
43. How to find out a new Principal /Supplier(s)
44. Agency Agreement with the Foreign Supplier
45. Bangladesh Bank Permission for Indenting Business
46. Basic concept on Indenting Business
47. Responsibilities of an Indenting House
48. Indentors’ Functional activities
49. Necessities and importance of an Indentor
50. Commission of Indenting Business
51. Required documents for opening Buying House
52. Responsibilities of Buying House
53. How to sourcing of new Buyers
54. Concept of Buying House Business
55. Commission of Buying House
56. Required documents for C&F agent license
57. Required documents for import goods
58. Required documents export goods
59. Name of the shipping lines
60. Concept on L/C, Customs, Commercial related documents
61. Responsibilities of C&F Agent
62. C&F Agent Commission
63. Different types of Tender
64. Potential Buyers for Tender Business
65. Required documents for International Tender
66. Agency Agreement with foreign suppliers
67. e- Tendering Procedures
68. CCI &E Permission
69. Bangladesh Bank permission
Revision
Question & Answers Session
Introduction of other reference books
Certificate Distribution