আমার ভাইয়ের ভালো চাকরী হবার পর আমরা পরিবারের সবাই ভেবেছিলাম এই বুঝি আমাদের দিন ফিরতে শুরু করলো । এখন আর আমাদের তেমন কষ্ট হবেনা। কিন্তু বুঝতেই পারিনি আমাদের জন্যে এমন দিন অপেক্ষা করছে। আজ আমরা একপ্রকার অসহায়।
আমার আব্বা আম্মা বিয়ের প্রথম থেকে আমার নতুন ভাবীকে মা বলে ডাকতো। এখন নাম ধরে ডাকে। এটা অবশ্য তার নিজের অর্জন।
অামার বড় ভাই এখন অনেক বড় ইঞ্জিনিয়ার। বছরে দুবার বিদেশের মাটিতে নিজের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা যাহীর করার সুযোগ পান। দেশ ছেড়ে বিদেশের মাটিতেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন আপন দম্ভে। মানে হলো কোম্পানি থেকে বছরে দুবার কোম্পানির অভ্যন্তরিন মিটিংয়ের জন্য দেশের বাইরে তাকে তলব করা হয়। এক এক বছর এক এক দেশ। এমনকি ঢাকায় জায়গা কিনেছেন বাড়ি করার প্রস্তুতি চলছে। অথচ আমার আম্মা আব্বা রোগে শোকে আধমরা। একেবারে যে খোজখবর নেয়না তা নয়। আব্বা আম্মা যখন অনেক ইমোশনাল হয়ে কান্নাকাটি করে তখন একটু খোজখবর নেয়। হয়তো একবেলার জন্য গিয়ে ঘুরে চলে আসে। ঈদেও তিনি গ্রামের বাড়িতে যেতে চাননা। ঢাকাতেই থাকেন- কারন ,তার বউ যাবেনা। তাই সেও বাড়ি যেতে পারে না।
আমার এই হৃদয়বান বড়ভাই নাকি অনেক দয়ালু । মানুষের উপকার করার জন্য ছুটে বেড়ান এক স্থান থেকে অন্য স্থানে। কিন্তু আশ্চর্যর বিষয় কি জানেন। তার কথায় অনেক লোকের চাকরী হয়। শুধু আমাদের দু’ভাই ছাড়া। আমরা দুভাই বলতে আমি আর আমার ছোট ভাই। তিনি আমাদের পরিচয় দিতে লজ্জা পান।
অথচ আমরা দুটি ভাই , কোনো প্রকার অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত না, কোন প্রকার নেশায় আশক্ত না। এমনকি সিগারেট, চা , পানের ও না।
আমার এই শ্রদ্ধেয় বড় ভাই , আমার বিয়েতেও বাড়িতে যায়নি। আমরা সবাই তার অপেক্ষায় আছি। সকালে বলল আসছি। তার একটু পরে বলল আমি গাড়িতে । দুপুর গড়িয়ে যাচ্ছে তার কোনো খবর নাই । এখন তিনি আর ফোন রিসিভ কর
ছেন না । আমরা ভাবছি হয়তো আসছে। পথে ব্যস্ত আছে। দুপুর ৩টার দিকে তার ফোন বন্ধ।
চলবে ..................................................
আমার আব্বা আম্মা বিয়ের প্রথম থেকে আমার নতুন ভাবীকে মা বলে ডাকতো। এখন নাম ধরে ডাকে। এটা অবশ্য তার নিজের অর্জন।
অামার বড় ভাই এখন অনেক বড় ইঞ্জিনিয়ার। বছরে দুবার বিদেশের মাটিতে নিজের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা যাহীর করার সুযোগ পান। দেশ ছেড়ে বিদেশের মাটিতেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন আপন দম্ভে। মানে হলো কোম্পানি থেকে বছরে দুবার কোম্পানির অভ্যন্তরিন মিটিংয়ের জন্য দেশের বাইরে তাকে তলব করা হয়। এক এক বছর এক এক দেশ। এমনকি ঢাকায় জায়গা কিনেছেন বাড়ি করার প্রস্তুতি চলছে। অথচ আমার আম্মা আব্বা রোগে শোকে আধমরা। একেবারে যে খোজখবর নেয়না তা নয়। আব্বা আম্মা যখন অনেক ইমোশনাল হয়ে কান্নাকাটি করে তখন একটু খোজখবর নেয়। হয়তো একবেলার জন্য গিয়ে ঘুরে চলে আসে। ঈদেও তিনি গ্রামের বাড়িতে যেতে চাননা। ঢাকাতেই থাকেন- কারন ,তার বউ যাবেনা। তাই সেও বাড়ি যেতে পারে না।
আমার এই হৃদয়বান বড়ভাই নাকি অনেক দয়ালু । মানুষের উপকার করার জন্য ছুটে বেড়ান এক স্থান থেকে অন্য স্থানে। কিন্তু আশ্চর্যর বিষয় কি জানেন। তার কথায় অনেক লোকের চাকরী হয়। শুধু আমাদের দু’ভাই ছাড়া। আমরা দুভাই বলতে আমি আর আমার ছোট ভাই। তিনি আমাদের পরিচয় দিতে লজ্জা পান।
অথচ আমরা দুটি ভাই , কোনো প্রকার অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত না, কোন প্রকার নেশায় আশক্ত না। এমনকি সিগারেট, চা , পানের ও না।
আমার এই শ্রদ্ধেয় বড় ভাই , আমার বিয়েতেও বাড়িতে যায়নি। আমরা সবাই তার অপেক্ষায় আছি। সকালে বলল আসছি। তার একটু পরে বলল আমি গাড়িতে । দুপুর গড়িয়ে যাচ্ছে তার কোনো খবর নাই । এখন তিনি আর ফোন রিসিভ কর
ছেন না । আমরা ভাবছি হয়তো আসছে। পথে ব্যস্ত আছে। দুপুর ৩টার দিকে তার ফোন বন্ধ।
চলবে ..................................................