গাছ
গাছপালা
খুব ভালোবাসি। তাই আব্বাকে বলেছিলাম ছাদের ওপর পাকা বড় টব করে দিতে। আব্বা করে
দিয়েছিলো। কাজি পেয়ারার চারা সংগ্রহ করলাম। কিন্তু তখনো টবের মাটিতে কোন প্রকার
সার মেশানো হয়নি বলে চারা দুটো বেডকাউ দুধের বড় কৌটার মধ্য লাগিযে রাখলাম। এর
মধ্যে হঠাৎ ঢাকা যাওয়ার পরিকল্পনা হলো। মাকে বললাম চারা দুটোতে পানি দিতে। তারপর
ঢাকা চলে গেলাম। দশ বারো দিন ঢাকায় থেকে খূলনায় ফিরলাম। দৌড়ে গেলাম ছাদে চারা
দুটোর হাল দেখতে। দেখে আমার চোখে পানি চলে এলো।
একটা চারা
ভালোই আছে অন্যটি একেবারে শুকিয়ে পাতা বিবর্ন হয়ে গিয়েছে। মা পানি দিয়েছিল ঠিকই
কিন্তু কৌটার নিচটা একেবারে ভাঙ্গা থাকায় পানি সব বাইনে চলে দিয়েছে। শিকড়ে তেমন
একটা পানি লাগেনি। প্রতিদিন আচ্ছামতো গাছের ওপর পানি ঢাললাম। পরদিন সামান্যতম পরিবর্তন
ও দেখলাম না। মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো। বাচাতে পারলাম না। শেষ চেষ্টা হিসেবে একটা
বালতিতে পানি দিয়ে তার ভেতর গাছসহ কৌটা ডুবিয়ে রাখলাম। একদিন চলে গেল। দ্বীতিয় দিন
দেখি একেবারে উপরের পাতা দুটিতে একটু সজীবতা ফিরে এসেছে। একটু সতেজ লাগছে। তারপর
সেই গাছ বেচে উঠলো। নিজের ভিতর এক অদ্ভুত আনন্দ অনুভব করলাম।আল্লাহর অশেষ রহমতে
সেবাযত্নের মাধ্যমে একটি গাছকে বাচিয়ে তুললাম্
ছোট চারা
বড় টবে লাগালাম। দিনে দিনে বড় হলো। ফূল এলো পেয়ারা এলো্ প্রায় এক কেজি ওজন একটা
পেয়ারার। কচকচে আর দারুন মিষ্টি। আমি তো বটেই অনেকেই এতা সুন্দর পেয়ারা কোনদিন
খায়নি বলে আমার পেয়ারা গাছের পেয়ারার প্রশংসা করলো।এক যুগের বেশি সময় ধরে এই গাছের
পেয়ারা খাচ্ছি। কিন্তু এখন সময় বদলে গিয়েছে। গাছের গোড়ার মাটি খুব শক্ত হয়ে
গিয়েছে। সারও দেয়া যায় না। টবের ইটও শিকড়ের চাপে ভেঙে গিয়েছে। পানি দিলে টবের ফাটল
দিয়ে বাইরে পড়ে যায়। পেয়ারা আজও প্রচুর হয় কিন্তু আকারে ছোট।
সংকলিত............................