Wednesday, January 24, 2018

একাউন্টিং


Monday, January 4, 2016
অধ্যায় - 04 ::  Accounting Equation- হিসাব সমীকরন
Accounting Equation ( হিসাব সমীকরন )ঃ যে গাণিতিক সূত্রের সাহায্যে ব্যবসায়ের মোট সম্পত্তি এবং দায়ের সর্ম্পক প্রকাশ করা হয় তাকে হিসব সমীকরন বা Accounting Equation  বলা হয় । এই হিসব সমীকরনের সাহায্যে ডেবিট ও ক্রেডিট নির্ণয় করা যায়।
হিসাব সমীকরণটি হলঃ    A = L + OE
Assets (A) = Liabilities (L) + Owner’s Equity (OE)
অর্থাৎ  সম্পদ = দায় + মালিকানা স্বত্ব
মালিকানা স্বত্ব সরাসরি প্রভাবিত হয় লাভ লোকসানের মাধ্যমে। প্রতিষ্ঠানের লাভ হলে মালিকানা স্বত্ব বৃদ্ধি পায় এবং লোকসান হলে মালিকানা স্বত্ব  হ্রাস পায়। প্রতিষ্ঠানের আয় (Revenue) ও ব্যয়ের (Expense) পার্থক্যটি হল লাভ বা লোকসান। এছাড়াও মালিক উত্তোলন (Drawing) করলে মালিকানা স্বত্ব কমে।
মালিকানা স্বত্ব (OE) = C + R – E – D
Owner’s Equity (OE) = Capital (C) +  Revenue (R) – Expense (E) – Drawing (D)
মালিকানা স্বত্ব  =  মুলধন  +  আয় – ব্যয়  – উত্তোলন
হিসাব সমীকরণটি প্রসারিত করে লেখা যায়ঃ  A = L + (C + R –E –D)
1.      Assets - সম্পদ
2.      Liabilities -দায়
3.      Capital - মুলধন
4.      Revenue - আয়
5.      Expense - ব্যয়
6.      Drawing - উত্তোলন
হিসাব সমীকরণটি হল আধুনিক পদ্ধতি -
বিভন্ন হিসাবের ডেবিট ও ক্রেডিট নির্ণয়ের আধুনিক পদ্ধতি নিম্নে আলোচনা করা হলঃ
আধুনিক পদ্ধতিতে হিসাবের শ্রেণী বিভাগঃ
১) সম্পত্তিঃ সম্পত্তি সাধারণত ডেবিট ব্যালেন্স (জের) নির্দেশ করে। সম্পদ হলো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন পরিসম্পদ। সম্পত্তি বৃদ্ধি পেলে ডেবিট এবং সম্পত্তি হ্রাস পেলে ক্রেডিট করতে হবে।
সম্পদের উদাহরণঃ নগদান হিসাব, ব্যাংক হিসাব, আসবাবপত্র হিসাব, কলকব্জা ও যন্ত্রপাতি হিসাব, অফিস সরঞ্জাম হিসাব, দালানকোঠা হিসাব, বিনিয়োগ হিসাব, দেনাদার হিসাব, প্রাপ্য বিল হিসাব, সমাপনী মজুদ, অগ্রিম ব্যয় হিসাব, প্রাপ্য আয় হিসাব, অগ্রিম বীমা সেলামী হিসাব, সুনাম হিসাব, অগ্রিম ভাড়া হিসাব, প্রদত্ত ঋণ হিসাব, শেয়ার ক্রয় হিসাব, ইজারা সম্পত্তি হিসাব, প্রাথমিক খরচাবলি, মজুদ পণ্য হিসাব, ইত্যাদি।
কোন প্রতিষ্ঠানের মোট সম্পত্তি নির্ণয়ঃ
বিবরণ
টাকা
প্রতিষ্ঠানের দায়ের পরিমান
(+) প্রতিষ্ঠানের মালিকানা স্বত্বের পরিমান
প্রতিষ্ঠানের মোট সম্পত্তি
***
***
***
দায়ঃ দায় সাধারণত ক্রেডিট ব্যালেন্স ( জের) নির্দেশ করে। কোন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন সম্পদের উপর ঐ প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় পক্ষের দাবির সমষ্টিকে দায় বলে। দায় বৃদ্ধি পেলে ক্রেডিট এবং দায় হ্রাস পেলে ডিবিট করতে হবে।
দায়ের উদাহরণঃ ঋণ হিসাব, পাওনাদার হিসাব, প্রদেয় বিল হিসাব, অগ্রিম আয় হিসাব, বকেয় ব্যয় হিসাব, ব্যাংক জমাতিরিক্ত হিসাব  ইত্যাদি।
কোন প্রতিষ্ঠানের মোট দায় নির্ণয়ঃ
বিবরণ
টাকা
কোন প্রতিষ্ঠানের সম্পদের পরিমান
(-) প্রতিষ্ঠানের মালিকানা স্বত্বের পরিমান
প্রতিষ্ঠানের মোট দায়
***
***
***
স্বত্বাধিকার হিসাবঃ স্বত্বাধিকার সাধারনত ক্রেডিট ব্যালেন্স (জের) নির্দেশ করে। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সম্পদের উপর মালিকের দাবির পরিমাণকে মালিকানা স্বত্ব বলে। স্বত্বাধিকার বৃদ্ধি পেলে ক্রেডিট এবং স্বত্বাধিকার হ্রাস পেলে ডিবিট করতে হবে।
স্বত্বাধিকার উদাহরণঃ মুলধন হিসাব, উত্তোলন হিসাব, উত্তোলনের সুদ, আয়কর হিসাব, সাধারণ সঞ্চিতি হিসাব, অনাদায়ী পাওনা সঞ্চিতি হিসাব, মুলধনের সুদ হিসাব,
কোন প্রতিষ্ঠানের মোট স্বত্বাধিকারনির্ণয়ঃ
বিবরণ
টাকা
কোন প্রতিষ্ঠানের সম্পদের পরিমান
(-) প্রতিষ্ঠানের মোট দায়ের পরিমান
প্রতিষ্ঠানের মোট দায়
***
***
***
অথবাঃ              প্রতিষ্ঠানের মোট স্বত্বাধিকার নির্ণয়ঃ
বিবরণ
টাকা
প্রারম্ভিক মুলধন
(+) অতিরিক্ত মুলধন
(+) মুলধনের সুদ
(-) উত্তোলন
(-) উত্তোলনের সুদ
(+) অর্জিত আয়সমুহ
(-) সংঘটিত ব্যয়সমুহ
মালিকানা স্বত্বের পরিমান
***
***
***
***
***
***
***
****
মালিকানা স্বত্বকে হ্রাস-বৃদ্ধি করে এমন উপাদানঃ
আয় হিসাব ঃ আয় সাধারণত ক্রেডিট ব্যালেন্স ( জের) নির্দেশ করে। আয় বৃদ্ধি পেলে ক্রেডিট এবং আয় হ্রাস পেলে ডিবিট করতে হবে। আয় মালিকানা স্বত্বকে বৃদ্ধি করে।
আয়ের উদাহরণঃ বিক্রয় হিসাব, প্রাপ্ত ভাড়া হিসাব, সুদ আয় হিসাব, প্রাপ্ত কমিশন হিসাব, প্রাপ্ত বাট্টা হিসাব, বিক্রয় ফেরত হিসাব, বিনিয়োগের সুদ,
ব্যয় হিসাব ঃ ব্যয় সাধারণত ডেবিট ব্যালেন্স (জের) নির্দেশ করে। ব্যয় বৃদ্ধি পেলে ডেবিট এবং ব্যয় হ্রাস পেলে ক্রেডিট করতে হবে।
ব্যয় মালিকানা স্বত্বকে হ্রাস করে।
ব্যয়ের উদাহরণঃ ক্রয় হিসাব, পরিবহন ব্যয় হিসাব, বিক্রয় পরিবহণ হিসাব, বেতন হিসাব, মজুরি হিসাব, ভাড়া হিসাব, মনিহারি হিসাব, বিজ্ঞাপন হিসাব, সুদ ব্যয় হিসাব, প্রদত্ত কমিশন হিসাব, প্রদত্ত বাট্টা হিসাব, অনাদায়ী পাওনা হিসাব, মেরামত হিসাব, অবচয় হিসাব, আমদানি শুল্ক হিসাব, ক্রয় ফেরত হিসাব,
উত্তোলনঃ মালিক ব্যক্তিগত কাজের জন্য নগদ ও পণ্য উত্তোলন করতে পারে। উত্তোলন মালিকানা স্বত্বকে হ্রাস করে।
অতিরিক্ত বিনিয়োগঃ  ব্যবসায় পরিচালনার জন্য অতিরিক্ত টাকা , কোন সম্পদ ইত্যাদি মুলধন হিসাবে আনয়ন করলে তা মালিকানা স্বত্বকে বৃদ্ধি করে।
হিসাব সমীকরন ঘরের নমূনা হলো নিম্নরুপঃ-
রুপা এন্টারপ্রাইজ
হিসাব সমীকরনে লেনদেনের সারনি
তারিখ
সম্পদসমুহ
=
দায় ও মালিকানা স্বত্ব
মন্তব্য
বছর
নগদ
দেনাদার
মনিহারী
সরঞ্জাম
প্রদেয়
বিল
পাওনাদার
মুলধন
মোট
 ***
***
***
***
***
****
****
Note: যে সমস্ত লেনদেনগুলো মূলধনের সাথে (+ ) বা ( - ) হবে তার ক্ষেত্রে  মন্তব্যএর ঘরে মন্তব্য হবে ।
Note: হিসব সমীকরন প্রমান করতে না বললে যার যার হিসাব তার ঘরের যোগফল নামিয়ে জের টানতে হবে ।
Note: হিসব সমীকরন প্রমান করতে বলা হলে সূত্র হবেঃ-
হিসব সমীকরন প্রমান:
আমরা জানি,
                        সম্পদ = দায় + মালিকানা স্বত্ব
            সম্পদের নাম  =  দায় + মালিকানা স্বত্বের   নাম
            সম্পদের পরিমান (টাকায়) = দায় + মালিকানা স্বত্বের পরিমান (টাকায়)
             **** = **** (প্রমানিত).
Note: যদি  সম্পদ বা দায় বের করতে বলে তা হলে সূত্র হবেঃ-
                             সম্পদ = দায় + মালিকানা স্বত্ব.
Note:  যদি প্রশ্নে লাভ-লোকসান বিবরণী,  মালিকানা স্বত্ব এবং  উদ্বত্তপত্র করতে বলে তাহলে সম্পদের যোগফল এবং মন্তব্য এর আয় ব্যয় নিয়ে করতে হবে ।
Note: যাহা নির্ণয় করতে হবে তার নামঃ
প্রারম্ভিক মালিকানা স্বত্ব + অতিরিক্ত মুলধন + মোট আয়  =  মোট খরচ + উত্তোলন + সমাপনী মালিকানা স্বত্ব
উপরুক্ত বিষয়গুলো থেকে যেকোন একটি বিষয় নির্ণয় করতে হবে ।
বিভন্ন হিসাবের ডেবিট ও ক্রেডিট নির্ণয়ের আধুনিক পদ্ধতি সংক্ষিপ্তভাবে নিম্নে দেওয়া হলঃ
সম্পদ হিসাবঃ   সম্পত্তি সাধারণত ডেবিট ব্যালেন্স (জের) নির্দেশ করে।
সম্পদ বৃদ্ধি পেলে . . . . . . . . . .  . . ডেবিট
সম্পদ হ্রাস পেলে . . . . . . . . . .  . . ক্রেডিট
দায় হিসাবঃ      দায় সাধারণত ক্রেডিট ব্যালেন্স ( জের) নির্দেশ করে।
দায় হ্রাস পেলে . . . . . . . . . .  . . ডেবিট
দায় বৃদ্ধি পেলে . . . . . . . . . .  . . ক্রেডিট
স্বত্বাধিকার হিসাবঃ স্বত্বাধিকার সাধারনত ক্রেডিট ব্যালেন্স (জের) নির্দেশ করে।
স্বত্বাধিকার  হ্রাস পেলে . . . . . . . . . .  . . ডেবিট
স্বত্বাধিকার বৃদ্ধি পেলে . . . . . . . . . .  . . ক্রেডিট
আয় হিসাবঃ     আয় সাধারণত ক্রেডিট ব্যালেন্স ( জের) নির্দেশ করে।
আয় হ্রাস পেলে . . . . . . . . . .  . . ডেবিট
আয় বৃদ্ধি পেলে . . . . . . . . . .  . . ক্রেডিট
ব্যয় হিসাবঃ         ব্যয় সাধারণত ডেবিট ব্যালেন্স (জের) নির্দেশ করে।
ব্যয় বৃদ্ধি পেলে . . . . . . . . . .  . . ডেবিট
ব্যয় হ্রাস পেলে . . . . . . . . . .  . . ক্রেডিট